ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড অটিজমের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে ‘ভালনারেবিলিটি’ থিমেটিক বিভাগের অধীনে ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
সায়মা ওয়াজেদের পাশাপাশি, সিভিএফ মালদ্বীপের সাবেক স্পিকার ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ, ফিলিপাইনের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার লোরেন লেগার্ডা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর শীর্ষ জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ টোসি পান-পানুকে সংগঠনটির ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তাঁদের অন্য তিনটি থিমেটিক বিভাগ অ্যাম্বিশন, পার্লামেন্ট ও রিনিউয়েবল এনার্জির অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাঁদের ভূমিকা পালন করার আমন্ত্রণ জানান। সিভিএফের থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তাঁরা বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের কাছে প্রচারণা চালাবেন এবং বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মহল ও সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় ঘটাবেন এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকিগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করবেন। বিশেষ করে তারা দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য আহ্বান জানাবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সায়মা ওয়াজেদ, মোহাম্মদ নাশিদ, লরেন লেগার্ডা ও তোসি পানু-পানু নিজ নিজ বিভাগে প্রচুর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজে আন্তরিকতা ও এর মাধ্যমে প্রাপ্ত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাঁদের রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারস ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং এ সম্পর্কে একজন বক্তা ও লেখক। তিনি সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার ইস্যুতে বড় ধরনের অবদান রেখেছেন।
সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘের অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতিসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে আসছেন। তিনি জাতিসংঘ আয়োজিত ‘অ্যাড্রেসিং দ্য সোসিওইকোনোমিক নিডস অব ইন্ডিভিজুলেস, ফ্যামিলিস অ্যান্ড সোসাইটিজ অ্যাফেকটেড বাই অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস, ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেড ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মার্শাল আইল্যান্ডস ও কোস্টারিকা থেকেও সংস্কৃতি ও অর্থনীতিবিষয়ক দুজন থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেওয়া হবে।
থিমেটিক অ্যাম্বাসেডররা সিভিএফ সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে সাহায্য করবেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি বিদ্যমান ও নতুন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিভিএফ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে যুক্তি, দাবি ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সমন্বয় করবেন।