সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ: বড় বোন রহিমার পর দগ্ধ জান্নাতিও না ফেরার দেশে

প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪

আমিনুল ইসলাম বাবু:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মাশীল বাঘপাড়া এলাকায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ঘটনায় বড় বোন রহিমা বেগমের পর এবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন দগ্ধ ছোট বোন মোছা. জান্নাতি আক্তার (১৮)। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও ৪ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- সুখী আক্তার (৩৩), মো. আরিফ হাওলাদার (২১), ঋতু আক্তার (১৩) ও সাদিয়া (১০)। আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিউজ পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও পুলিশ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া নিউজ পোস্টকে বলেন, আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, এর আগের দিন গতকাল সোমবার (২৯ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাতির বড় বোন দগ্ধ রহিমা বেগমের মৃত্যু হয়। নিহত জান্নাতি ও রহিমা ছিলেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার দক্ষিণ চরখালি গ্রামের মো. মোতালেব মিয়ার মেয়ে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম নিউজ পোস্টকে বলেন, আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরের দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাতির মৃত্যু হয়। আগুনে তার শ^াসনালীসহ শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে গত সোমবার মারা যান তার বড় বোন রাহিমা বেগম। রহিমার শ^াসনালীসহ শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও ৪ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের বাঘপাড়া এলাকার একটি টিনশেডে বাসায় মশার কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হন। তাদের দ্রæত উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।