সূর্যের দেখা নেই, কনকনে ঠান্ডায় কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। তাপমাত্রা উঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠাণ্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীতে কাতর মানুষ। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশুপাখিরাও। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।
গত এক সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। এ ছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ জন শিশু। দিন ও রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দিনভর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষিক্ষেত্রেও। গত এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় হলুদ ও সাদা বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বোরো আবাদের বীজতলা।
কৃষকরা জানান, বোরো মৌসুম শুরু হলেও একদিকে কনকনে ঠান্ডায় জমিতে রোপণ করতে পারছেন না ধানের চারা। অন্যদিকে হিমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তাদের।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের কৃষক আবু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ নিয়ে সাত দিন হলো সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঠান্ডা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বোরো ধানের বীজতলা করেছি, এখনো তেমন সমস্যা হয়নি। তবে এমন ঠান্ডা আরও ২-৩ দিন থাকলে বীজতলার ক্ষতি হতে পারে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, বোরো আবাদের জন্য জেলায় এ বছর সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রোপণ করা হয়েছে মাত্র ১২ হেক্টর জমি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, জানুয়ারি মাসজুড়েই তাপমাত্রা এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৩-৪ দিন পরে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।