ক্রীড়া ডেস্ক:
মিরাজের হতাশা: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু নিয়ে শঙ্কা ছিল। সকাল থেকে আকাশে মেঘ, এক-দু ফোঁটা করে বৃষ্টিও। তবে আলো স্বল্পতা না থাকায় শঙ্কা কাটিয়ে দিনের খেলা শুরু হতেই সাজঘরে ফেরেন স্পিনার নাঈম হাসান। মেহেদী মিরাজের সেঞ্চুরি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। পরে শেষ ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির ঠিক আগে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন মিরাজ।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারে ৮৯.৫ ওভারে ৩০৭ রানে অলআউট হয়েছে। মিরাজ ৯৭ রান করে আউট হয়েছেন। বাংলাদেশ জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে।
মিরাজের দৃঢ়তা: বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে। মিরাজ ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিন সকালে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলী ১৩৮ রানের জুটি গড়েন। অভিষেক টেস্টে ৫৮ রান করেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০৮: প্রথম ইনিংসে ১০৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমদিন তারা ৩৪ রানের লিড নিতেই ৬ উইকেট হারায়। সেখান থেকে উইকেটরক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরায়েনে ও পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদার ১১৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাহিরে নিয়ে যান। মুলদার ৫৪ রান করে ফিরলেও ভারায়েনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১১৪ রানে থামেন। এছাড়া ডিন পিডিট ৩২ রান যোগ করেন।
রাবাদা-তাইজুলের ঝলক: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। প্রথম দিন প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটের ৫টিই নেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পেসার হাসান নেন ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসু রাবাদা ও মুলদার ৩টি করে উইকেট নেন। স্পিনার কেশব মহারাজ নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা নিয়েছেন ৪ উইকেট।