স্মৃতি হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১১:০২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৪

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তরুণী স্মৃতি রানী পালকে গাজীপুরের শ্রীপুরে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে গৌরীপুরবাসী। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের কালীখলা এলাকার কৃষ্ণচূড়া চত্বরে ‘আমরা গৌরীপুরবাসী’র ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্মৃতি রানীর ১৮ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানকে রেখে ঘাতকরা পরিকল্পিতভাবে স্মৃতিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার পরপর শ্রীপুর থানার পুলিশ তাঁর স্বামী কাব্য সরকারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে নিয়ে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গৌরীপুর শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ গৌরীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মণ্ডল, কালিখলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ পিলু, সতীষা যুব কিশোর সংঘের সাধারণ সম্পাদক রইছ উদ্দিন, গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কমল সরকার, সহসভাপতি আলী হায়দার রবিন, কোষাধ্যক্ষ শামীম খান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম গৌরীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কাউসার, গৌরীপুর সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এইচটি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
জানা গেছে, স্মৃতি রানী পাল ময়মনসিংহের গৌরীপুরের দৌলতপুর গ্রামের সুনীল পালের মেয়ে। তিন বছর আগে গাজীপুরের শ্রীপুরের কেওয়াখণ্ডের কেশব সরকারের ছেলে কাব্য সরকারের সঙ্গে স্মৃতির বিয়ে হয়। স্মৃতি তাঁর পরিবার নিয়ে স্বামী কাব্য সরকারের মামার বাড়ি শ্রীপুরে থাকতেন। গত ২৮ অক্টোবর ওই বাড়িতে স্মৃতিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় স্মৃতির বাবা শ্রীপুর থানায় মামলা করলে স্মৃতির স্বামী কাব্য সরকার, তাঁর মামা নিমাই সন্নাসী ও মামি বেলী সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, স্মৃতি রানী পাল হত্যায় থানায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও কেউ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে কিনা তদন্ত করছে পুলিশ।