বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির পর এবার সর্ববৃহৎ হে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে। সৌদির মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস এ ঘোষণা দেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক বিন ফাওজান আল-রবিয়াহ। বৃহস্পতিবার এ পরিকল্পনার উদ্বোধন করেন তিনি।
শায়খ আল-সুদাইস বলেন, ‘জেনারেল প্রেসিডেন্সি এবার হজ মৌসুমের সর্ববৃহৎ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
করোনা মহামারির সমাপ্তি ও হজযাত্রীদের স্বাভাবিক অংশগ্রহণের ঘোষণার পর সমন্বিত ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ভিশন ২০৩০-এর সঙ্গে মিল রেখে অতীতের সাফল্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে সৌদি সরকারের ২০২৪ সালের কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবারের কর্মপরিকল্পনাটি প্রস্তুত করা হয়।
পবিত্র মসজিদুল হারামের প্রধান ইমাম বলেন, ১৪ হাজার কর্মীর পাশাপাশি এবার জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় হজের মৌসুমে আট হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। তারা পবিত্র দুই মসজিদের ১০টি ক্ষেত্রে দুই লাখের বেশি কর্মঘণ্টা সেবায় নিয়োজিত থাকবেন।
মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় ৪৯টি স্টেশনের মাধ্যমে বিশ্বের ৫১ ভাষায় হজযাত্রীদের অনুবাদসেবা দেয়া হবে। তা ছাড়া মসজিদে থাকবে কোরআন পাঠ, মুখস্থ ও শিক্ষাবিষয়ক প্রোগ্রামের ব্যবস্থা। সৌদির শীর্ষ আলেমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ৩৫ হাজার ঘণ্টার প্রোগ্রাম ১০ ভাষায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এদিকে হজ মৌসুমে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে তিন লাখের বেশি কোরআনের কপি বিতরণ করা হবে। পবিত্র দুই মসজিদের ৩০ হাজার পয়েন্টে হজের সময় প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ বোতলে ৪০ মিলিয়ন লিটার জমজমের পানি বিতরণ করা হবে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও সেবা দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অ্যাপ, রোবট ব্যবহৃত হবে।
সূত্র: আরব নিউজ/সূত্র: আল আরাবিয়া