
ডেস্ক রিপোর্ট:
পাকিস্তান, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, ভুটানসহ কয়েক ডজন দেশ ও অঞ্চলের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বিষয়টি সম্বন্ধে জানা হোয়াইট হাউসের একাধিক সূত্র ও অভ্যন্তরীণ এক নথির বরাত দিয়ে গত শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে লাল, কমলা ও হলুদ তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হতে পারে। এর মধ্যে লাল তালিকায় থাকা ১১টি দেশের নাগরিকদের ভিসার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। এ তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো– আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন।
দ্বিতীয় গ্রুপ অর্থাৎ কমলা তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো– বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান, তুর্কমেনিস্তান। এসব দেশের ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। অর্থাৎ এই দেশগুলোর নাগরিকদের অভিবাসী ভিসা, ট্যুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসা পেতে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হবে।
শেষ বা হলুদ গ্রুপে থাকা দেশগুলো হলো– অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কেপ ভারদে, চাঁদ, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডমেনিকা, ইক্যুয়াটোরিয়াল গায়ানা, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউয়ি, মালি, মৌরিতানিয়া, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, ভানুয়াতু, জিম্বাবুয়ে, সাওতোম অ্যান্ড প্রিন্সিপ।
এ-সংক্রান্ত নথিতে বলা আছে, ৬০ দিনের মধ্যে দেশগুলোর সরকার নিরাপত্তা তথ্য-সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে তাদের নাগরিকদের ভিসায় আংশিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
এ তালিকায় রদবদল হতে পারে। নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এর অনুমোদন দেননি।
এর আগে ট্রাম্প তাঁর প্রথম শাসনামলে ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। অনেক আইনি লড়াই শেষে ২০১৮ সালে ট্রাম্পের ওই উদ্যোগ দেশটির সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়। গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেই এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইচ্ছুক সব বিদেশির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই জোরদারের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশে যাদের নিরাপত্তা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে না এমন দেশগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোর ওপর পূর্ণাঙ্গ, কোনগুলোর ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় তার তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে জমা দিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
৪১ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার চিন্তা ট্রাম্পের
পাকিস্তান, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, ভুটানসহ কয়েক ডজন দেশ ও অঞ্চলের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বিষয়টি সম্বন্ধে জানা হোয়াইট হাউসের একাধিক সূত্র ও অভ্যন্তরীণ এক নথির বরাত দিয়ে গত শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে জানানো হয়, নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে লাল, কমলা ও হলুদ তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হতে পারে। এর মধ্যে লাল তালিকায় থাকা ১১টি দেশের নাগরিকদের ভিসার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। এ তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো– আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন।
দ্বিতীয় গ্রুপ অর্থাৎ কমলা তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো– বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান, তুর্কমেনিস্তান। এসব দেশের ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। অর্থাৎ এই দেশগুলোর নাগরিকদের অভিবাসী ভিসা, ট্যুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসা পেতে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হবে।
শেষ বা হলুদ গ্রুপে থাকা দেশগুলো হলো– অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কেপ ভারদে, চাঁদ, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ডমেনিকা, ইক্যুয়াটোরিয়াল গায়ানা, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউয়ি, মালি, মৌরিতানিয়া, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, ভানুয়াতু, জিম্বাবুয়ে, সাওতোম অ্যান্ড প্রিন্সিপ।
এ-সংক্রান্ত নথিতে বলা আছে, ৬০ দিনের মধ্যে দেশগুলোর সরকার নিরাপত্তা তথ্য-সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে তাদের নাগরিকদের ভিসায় আংশিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
এ তালিকায় রদবদল হতে পারে। নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এর অনুমোদন দেননি।
এর আগে ট্রাম্প তাঁর প্রথম শাসনামলে ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। অনেক আইনি লড়াই শেষে ২০১৮ সালে ট্রাম্পের ওই উদ্যোগ দেশটির সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়। গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেই এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইচ্ছুক সব বিদেশির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই জোরদারের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশে যাদের নিরাপত্তা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে না এমন দেশগুলো শনাক্ত করে সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোর ওপর পূর্ণাঙ্গ, কোনগুলোর ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় তার তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে জমা দিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।