স্পোর্টস ডেস্ক:
রংপুরের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন বোলাররা। আরও স্পষ্ট করে বললে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং আলাউদ্দিন বাবু। দুজনের বোলিং তোপে ফাইনালের মতো বিগ ম্যাচে ঢাকা মেট্রো তুলল ৬২ রান। ছোট লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে রংপুরও খুব একটা স্বস্তিতে ছিল এমনটা বলা চলে না। ১৮ রানেই একপর্যায়ে তারা হারায় ৩ উইকেট।
সেখান থেকে অবশ্য পথ হারায়নি তারা। আরিফুল হক এবং মোহাম্মদ এনামুলের দুইটি ১৪ রানের ইনিংসে সহজেই ৬২ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যায় রংপুর। নিশ্চিত করে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরের শিরোপা।
আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রোর হয়ে নাইম শেখ, শামসুর রহমান শুভ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত কিংবা ইমরানুজ্জামানের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত সব নাম ব্যর্থ হয়েছেন। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোর ব্যাটিং লাইনআপ। ইমরান, আনিসুল ইসলাম এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ফিরিয়েছেন ম্যাচের ৩ ওভারের আগেই।
সঙ্গে ছিলেন আলাউদ্দিন বাবু। দুইজনের সম্মিলিত বোলিং তোপে ১৬ রানেই ৫ উইকেট হারায় ঢাকা মেট্রো। নাইম এবং ইমরান দলীয় ১০ রান পেরুবার আগেই ফিরে গেলে বিপর্যয় বাড়ে ঢাকা মেট্রোর। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ করেন শামসুর রহমান শুভ। তিনিই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার, করেছেন ১৪ রান। দলীয় ৩৩ রানে রিজওয়ানের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর ঢাকার হয়ে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন কেবল আবু হায়দার রনি। ৯ বলে ১৩ রান তার। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ফেরেন মোটে ৬ রান করে। শেষ পর্যন্ত রনির ইনিংসে ভর করে পঞ্চাশ পার হয় ঢাকা। ইনিংসটা থেমেছে ৬২ রানে গিয়ে। রংপুরের হয়ে ৩ টি করে উইকেট পেয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু এবং মুকিদুল মুগ্ধ। দুজনেই খরচ করেছেন ১২ রান। একটি করে উইকেট রবিউল হক, চৌধুরী রিজওান এবং আরিফ আহমেদের।
৬৩ রানের লক্ষ্যে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে রংপুর তোলে ১৪ রান। ৬ বলে ২ রান করে ফেরেন আবদুল্লাহ আল মামুন। নাইম ইসলামও সাজঘরে ফেরেন কোনো রান না করেই। দলীয় ১৮ রানে ফেরেন রিজওয়ান। এরপর অধিনায়ক আকবর আলীও রানআউট হয়ে ফিরলে খানিক অস্বস্তি ভর করেছিল রংপুরের ড্রেসিংরুমে।
আরিফুল হক এরপর খেললেন ১৪ রানের ইনিংস। সেটাই খানিক চাপমুক্ত করে দলকে। এরপর মোহাম্মদ এনামুল বাকি কাজ সারেন তানভির হায়দারকে নিয়ে। ৫ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর। নিশ্চিত করে এনসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা।