৬১% তরুণী কর্ম ও শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির বাইরে

প্রকাশিত: ১২:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪

ঢাকা প্রতিনিধি:

দেশের ৬১ দশমিক ৭১ শতাংশ যুব নারী কর্ম, শিক্ষা বা দক্ষতা উন্নয়নের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির বাইরে। এ বছর প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বিশিষ্টজনের মতে, বাল্যবিয়ে, সুযোগের অভাব, নিরাপত্তাহীনতা ও পারিশ্রমিকবিহীন সেবা কাজে যুক্ত থাকায় যুবশক্তি প্রশিক্ষণ ও কর্মে যুক্ত হতে পারছে না বিশাল এ জনগোষ্ঠী।

লেবার ফোর্সের তথ্য অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম বা কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা মেয়ের হারও খুব বেশি। ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ নিট নারী কর্ম ও প্রশিক্ষণের বাইরে আছেন। এ প্রেক্ষাপটে দেশব্যাপী আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য– কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ।
এক বছর বয়সী কন্যাসন্তানের মা ১৮ বছরের কামরুন নেসা। দুই বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের আগে ঢাকায় একটি বাড়িতে কাজ করতেন তিনি। এখন আর কোনো কাজ করেন না। বাবার মৃত্যুর পর কক্সবাজারের নীপার পড়ালেখা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে কেরানীগঞ্জে বোনের বাড়িতে থাকেন। ঢাকায় একটি কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে তাঁর দুলাভাই তাঁকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু বছর গড়িয়ে গেলেও তাঁর কাজে যোগ দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩ লাখ যুবশক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু কামরুন নেসার মতো অনেকেই এর বাইরে থেকে যান।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীরা কর্ম ও প্রশিক্ষণে প্রবেশের ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আবার আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থানের জন্যই বাল্যবিয়ের কারণে মেয়েদের একটি বড় অংশ শিক্ষা-প্রশিক্ষণ কর্মসংস্থান থেকে দূরে থাকে। ফলে আমরা জনমিতি অনুসারে ৫০ শতাংশের মতো শ্রমশক্তি ব্যবহার করতে পারছি না। এ সংকট দূরীকরণে অনেকগুলো সমাধানের মধ্যে সফল নারীদের রোল মডেল তৈরি করা জরুরি।