অনলাইনে পশু বিক্রি: ছবির সঙ্গে বাস্তবে পশুর মিল না থাকলে ব্যবস্থা: র‌্যাব

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত কয়েক বছর ধরে হাটে না গিয়ে ঘরে বসে ঝামেলাহীনভাবে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভাগে পশু কোরবানি দিতে চাইলে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা দিয়েও কোরবানিতে অংশ নেওয়া যাবে। তবে অনলাইনে পশু কিনতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছে অনেকেই। দাম অনুযায়ী পশু না পাওয়া কিংবা ছবিতে একটি দেখিয়ে অন্য পশু দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে।

দুই বছর আগে অনলাইনে গরু কিনতে গিয়ে প্রতারিত হন খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ১ লাখ টাকা আগাম পেমেন্ট করলেও তার কাঙ্ক্ষিত গরুটি পাননি। তবে, এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনভিত্তিক গরু কিনতে গিয়ে প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আজ শুক্রবার (২৩) জুন বিকেলে নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ডিজিটালের এ যুগে গত কয়েকবছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনভিত্তিক বিজ্ঞাপন দিয়ে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। অনলাইনভিত্তিক সবগুলো ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ-গ্রুপে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ছবিতে এক আর বাস্তবে অন্য পশু দিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইন মাধ্যমগুলো থেকে কেউ পশু কিনতে গিয়ে প্রতারিত হলে র‌্যাব কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করুন। আমাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইনে কেনাকাটা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে অনলাইন শপিং হয়। এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রতারণার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। যে কেউ অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারিত হলে আমাদের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেবো।

ঈদের সময় মার্কেট, শপিংমলগুলোতে মানুষের ভিড় হয়। সেখানে ছিনতাইকারী ও মলমপার্টির খপ্পরে পড়েন অনেকে। অনেকে কেনাকাটা করতে গিয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হন। এসব বিষয় মাথায় রেখে র‌্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে লঞ্চ, ফেরি, বাস স্টপেজে বিশেষ র‌্যাবের নজরদারি থাকবে ও গোয়েন্দা সদস্যরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন নির্বিঘ্নে যাত্রা করতে পারেন কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়তে না হয় সেজন্য র‌্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। ঘরমুখো মানুষ ছিনতাইকারী ও মলমপার্টির খপ্পরে না পড়েন সেজন্য গোয়েন্দা শাখা ও ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কাজ করছে।

এক শ্রেণির ব্যবসায়ী কোরবানির চামড়া মজুত ও দাম কমিয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেন জানিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ চলছে। এবার যেন দেশবাসী প্রতারিত না হন, ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য নজরদারি রাখছে র‌্যাব।

তিনি বলেন, ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। অতীতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটলেও আগামীতে হামলার হুঁমকি নেই। গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান।

ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা এখনো নেই উল্লেখ করে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যেহেতু শোলাকিয়াসহ ঈদ জামাতে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবো।