প্রযুক্তি ডেস্ক :
সময় যত যাচ্ছে দিন তত পাল্টাচ্ছে। যতটাই উন্নত হয়েছে ভার্চুয়াল জগত ঠিক ততটাই অপরাধ বেড়েছে এই জগতে। পুরো বিশ্ব যেন হাতের মধ্যে একটি মাত্র মুঠোফোনের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব যেন হাতের মধ্যেই কি করছে কখন করছে করা উচিত হচ্ছে নাকি সেই সমস্ত চিন্তা ভাবনাও মনে হয় এখন আর কাজ করে না। অনেকের ভার্চুয়াল জগতের হাজার হাজার সুবিধা থাকলেও এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি অসুবিধা। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে নানান ধরনের দুর্ঘটনা। দিন যত যাচ্ছে নানান ধরনের নতুন নতুন অপরাধ করার ফন্দিতে আছে অপরাধীরা। পরিবার, সমাজ, দেশ, বিশ্ব সব কিছুরই ক্ষতি হচ্ছে কোন না কোন ভাবে আর এই অপরাধগুলো সবচেয়ে বেশি শিকার হয় নারীরা। বেশিরভাগ সময়ই নারীদেরই এই ধরনের স্ক্যামের মধ্যে পড়ে ভুক্তভোগী হতে হয়।
অপরাধীরা, অপরাধ করবেই স্ক্যাম করবে এটাই খুব স্বাভাবিক তাই বলে কি আমরা সাবধান থাকবো না এমনটা হতে পারে না কিরূপ কার্যক্রম আসলে করা উচিত সে দিক থেকে আমাদের সচেতন এবং সাবধান হওয়া জরুরি তাই সেই নিয়েই বলা যাক:
বর্তমানে সময়ে স্ক্যামের সাথে যারা জড়িত তাদের মূল ও প্রধান লক্ষ্য হলো তারকা, উদ্যোক্তা ও মুক্ত পেশাজীবী, ইনফ্লুয়েন্সার ও অল্প বয়সী মেয়েদের ক্ষতি করা বা তাদের তথ্য চুরি করা। এমনকি বর্তমান সময়ে এআইয়ের মাধ্যমে ও অনেক ধরনের স্ক্যাম করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ। কৃত্রিমভাবে এ কাজটি করা হয়ে থাকে যেখানে যে মানুষটাকে নিয়ে করা হচ্ছে তার কোন অস্তিত্বই থাকে না।
সবচেয়ে মূল বিষয় হলো সাবধান থাকা যে কাজগুলা করণীয়
প্রথমত ফোনে যথাযথ সর্তকতা দিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রত্যেকটা অ্যাপ এ অ্যাপ লক দিয়ে রাখতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না যদি কখনো দরকারও হয় সেই ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং মানুষটি বিশ্বস্ত কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গণ ওয়াইফাই ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
জরুরি যেকোনো তথ্য বা ডেটার ব্যাকআপ রাখতে হবে।
ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে ও তা নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।
ভিপিএন ব্যবহার করতে হয় এমন সমস্ত অ্যাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ও ব্যবহৃত অন্যান্য অ্যাকাউন্টসমূহে দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে
বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রিকভারি ই-মেইল ও সচল ফোন নম্বর যুক্ত করে রাখতে হবে।
যেকোনো লিংক বা কোনো বিজ্ঞাপনে যাচাই-বাছাই ছাড়া ক্লিক করা যাবে না।
ব্যক্তিগত একাউন্টে বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। এছাড়াও ব্যক্তিগত একাউন্ট কিংবা ফেসবুক পেইজে সন্দেহ ভজন কিছু দেখলে তাকে সাথে সাথে ব্লক করে দিন।
স্ক্যাম বা সাইবার অপরাধের শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করা।
যখন যেকোনো ক্ষেত্রেই সুযোগ সুবিধা বেশি হয় সেই সব জায়গাতে অপরাধ করার প্রবণতাও বেশি থাকে। তাই যতটা সম্ভব সবসময় সতর্ক থাকার চেষ্টা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বন্ধু থেকে বিরত থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় তথ্যে বেশি কৌতূহল দেখানো যাবে না। যে কোন লিংক অথবা বিজ্ঞাপনে বুঝে শুনে ক্লিক করতে হবে।