অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনাল: আরব আমিরাতকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক :

২০১৯ সালে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হতে হয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। এবার ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের। রবিবার শিরোপার লড়াইয়ে আরব আমিরাতের বিপক্ষে তারা মাঠে নেমেছে। শিবলির দারুণ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে।

রবিবার দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং নেন আমিরাত অধিনায়ক আয়ান আফজাল খান। স্বাগতিক বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে শুরুতে চেপে ধরলেও শেষ অব্দি ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শিবলির সেঞ্চুরি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আরিফুল ইসলামের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮২ রান।

যদিও শুরতেই চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে ১৪ রানে ওপেনার জিসান আলমকে (৭) হারায় যুবারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি প্রতিরোধ গড়েন। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ২৭ রান করে বাংলাদেশের যুবারা ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর হয়েছে ১ উইকেটে ৮১ রান।

রিজওয়ান আউট হলে ১২৫ রানের জুটি ভাঙে দুইজনের। তিন নম্বরে নামা রিজওয়ান ৭১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তার আউটের পরও রানের গতি কমেনি। এবার সেমিফাইনালে ভারত বধের নায়ক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েন শিবলি। আরিফুল ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪০ বলে ৬ চারে ৫০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।

এরপর দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারালেও এক প্রান্ত আগলে রান রেট ঠিক রেখে শিবলি ব্যাটিং করে গেছেন। নিজের ইনিংসটিকে রাঙিয়েছেন সেঞ্চুরিতে। ১২৯ বলে ১০টি চারে সেঞ্চুরি দেখা পাওয়া শিবলি থেমেছেন ১২৯ রানে। ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে লম্বা শট খেলতে গিয়ে আউট হন এই ওপেনার। ১২ চার ও ১টি ছক্কায় ১৪৯ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। টুর্নামেন্টে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরিতে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকায় নিজের অবস্থান আরও শক্ত করেছেন এই ব্যাটার। এছাড়া অধিনায়ক মাহফিজুর রহমান রাব্বির ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস ভূমিকা রেখেছে আরব আমিরাতকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিতে।

আরব আমিরাতের বোলারদের মধ্যে আয়মান আহমেদ ৫২ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। আরব আমিরাতের জন্য এই লক্ষ্য বেশ কঠিনই। ব্যাটিংয়ের মতো ছন্দময় বোলিং করতে পারলেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়তে পারবে বাংলাদেশের যুবারা।