অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের জামিন মেলেনি আপিলেও

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তিন কোটি আট লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় ৫ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) বজলুর রশীদকে জামিন দেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ তাকে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। এ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী। গত ২ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত গত ২৯ মে পর্যন্ত জামিনাদেশ স্থগিত করেন। একই সঙ্গে শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানি হয়।

২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদ করেন তিনি।

পরে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন। এ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর ২৭ নভেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।

এর আগে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। একই সঙ্গে এ মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলেছেন। আদালতে ওইদিন দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

ঘটনার বিবরণীতে জানা গেছে, ডিআইজি বজলুর রশিদ অবৈধ সম্পদের অর্থ থেকে রাজধানীর সিদ্বেশ্বরীতে তিন কোটি আট লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন।

এ বিষয়ে দুদক সম্মিলিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বলা হয়, ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে একটি হাউজিং প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এর দাম হিসাবে পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। ওইদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।