অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে কানাডার সমর্থন চাইলেন ড. ইউনুস

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য কানাডাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে তার সরকারের কানাডার সমর্থন প্রয়োজন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্র্বতীকালীন সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

কানাডার শীর্ষ রাজনীতিবিদ এবং উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে ইউনূস জানান, তার গল্প কানাডার স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বড় বিনিয়োগ দরকার জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো অর্থনীতি ঠিক করা। বর্তমান সরকার ভেঙে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পুনরুদ্ধার করছে এবং শাসনে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা আনছে।
বৈঠকে কানাডার হাইকমিশনার বলেন, তার সরকার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্তর্র্বতী সরকারকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে কানাডা বাংলাদেশে সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, উত্তর আমেরিকার দেশ থেকে বাণিজ্য পছন্দ অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে অবশ্যই কারখানায় শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

জবাবে প্রফেসর ইউনূস বলেন, তার সরকার আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) মানদণ্ডের সঙ্গে সমানভাবে শ্রম অধিকার বজায় রাখবে।

নিকোলস বলেন, কানাডা জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনকে সমর্থন করতেও আগ্রহী।

ইউনূস বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে বিপ্লব দেশের জন্য নতুন আশার সূচনা করেছে। এগুলো ঐতিহাসিক সুযোগ। এই সুযোগগুলো হয়ত কখনোই ফিরে আসবে না। দেশ ভোটে যাওয়ার আগে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সংস্কার করা হবে। বিগত সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী কারচুপিতে পরিণত করা হয়েছিল।

কানাডিয়ান হাইকমিশনার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কানাডা রোহিঙ্গাদের মানবিক প্রতিক্রিয়ার জন্য ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে এবং রোহিঙ্গা জনগণের জন্য জীবিকার সুযোগ তৈরির আহ্বান জানাচ্ছি।