ক্রীড়া ডেস্ক:
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়েছেন তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়নের জার্সি গায়ে খেলবেন। প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বের আগে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি। তখনই নাম রেজিস্ট্রেশন করে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন জামাল।
তিনি এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। এএফসির কোচিং কোর্স করছেন। জামালের জন্য ব্রাদার্সের ৬ নম্বর জার্সি তুলে রাখা হয়েছে। সেটা জানেন জামাল। ব্রাদার্সের ফুটবল ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছিলেন জামাল যদি ব্রাদার্সে খেলতে চায় খেলবে। যদি অন্য কোনো ক্লাবে খেলতে চায় তাহলেও সে যেতে পারে।
আমের বলেছিলেন, ‘আমি চাই জামাল খেলুক। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল। সে লিগের কোনো ক্লাবে খেলবে না এটা আমার চোখে ভালো দেখায় না বলেই আমি ব্রাদার্সে খেলাতে চেয়েছিলাম। তাকে নিয়েও ছিলাম।’ ব্রাদার্স জামালকে খেলাতে চাইলেও নিয়মের ছোট-বড় দেওয়াল দেখিয়ে কম্পিটিশন কমিটি জামালের বিষয়টা বিবেচনা করেনি। এখন আর দেওয়াল নেই। মধ্যবর্তী দলবদলের নিয়মে প্রবেশ করে জামালের রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
ব্রাদার্সের কমলা নীল জার্সি গায়ে খেলার কথা জানিয়ে জামাল বলেন, ‘আমি অন্য ক্লাবে খেলতে চাই না। ব্রাদার্সে আমের ভাইয়ের দলে খেলতে চাই। দলবদলটা শুরু হলেই দেখতে পারবেন। আমি রেজিস্ট্রেশন করে ফেলব।’ জামালেরও আফসোস আছে লিগের প্রথম পর্বটা খেলতে পারেননি। জামাল জানিয়েছেন ফিটনেস ধরে রাখতে ডেনমার্কে ক্লাবের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছেন তিনি।
জামাল কি কোচ হতে চান? জামালের বিদ্যুৎ গতির জবাব, ‘না না। কোচ হতে চাই না।’ তাহলে কোচিং কোর্সটা করার কারণ কী? জামাল বললেন, ‘হাতে সময় আছে। লিগের ফিরতি পর্ব শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতে। এর আগেই খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের কাজও হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রেশনের আগে এই সময়টায় কোর্স হচ্ছে, সময়টা কাজে লাগাতেই কোচিং কোর্স করছি। কোচ হওয়ার জন্য নয়। আপনার হাতে সময় থাকলে আপনি কী ফাঁকা বসে থাকবেন।’
জামাল আর কত দিন ফুটবল খেলতে চান? জামালের পালটা প্রশ্ন, ‘তোমরা কি চাওনা আমি ফুটবল খেলি।’ ২০১৩ সালে ঢাকার ফুটবলে পা রেখেছেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া। ইউরোপ থেকে এসে বাংলাদেশের ফুটবলে নিজের স্থান করে নিয়েছেন। টানা অধিনায়কত্ব করে আসছেন জাতীয় দলের পতাকা হাতে। ফুটবল ক্যারিয়ার থাকতেই ঢাকায় শুরু হওয়ার কোচিং কোর্স করছেন। ফুটবলের ওস্তাদ হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে সব কাগজপত্র লাগবে সেগুলো এখন থেকে গুছিয়ে নিচ্ছেন ময়মনসিংহের ছেলে জামাল। কোচিং কোর্সের সার্টিফিকেটটা বাংলাদেশের ফুটবলে কাজে না লাগালেও জামাল ডেনমার্কে গিয়েও কাজে লাগাতে পারবেন।