
খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীর সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে অবস্থান নেওয়া বেশ কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রামদা হাতে অবস্থান নেওয়া খুলনা নগরীর দৌলতপুর থানা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে বেশ কয়েকজনকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে হাফ হাতা শার্ট ও মুখে গামছা জড়িয়ে রামদা হাতে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিটি যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে বহিষ্কার করার বিষয়টি জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, মাহবুব অনেক আগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি ছিলেন। এখন তিনি কোনো পদে নেই। কুয়েট এলাকায় তাঁর অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে হয়েছে। এটা দলের কোনো বিষয় নয়।
সংঘর্ষের সময় কালো হাফ হাতা শার্ট এবং রামদা হাতে আরও একজনকে দেখা গেছে। তাঁর নাম কামাল হোসেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তিনি কোনো পদে নেই। তাঁর পেছনে লাঠি হাতে অবস্থান করছিলেন হেলাল, তিনি শ্রমিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
খানজাহান আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লাল হোসেন বলেন, কামাল কখনও বিএনপি, কখনও যুবদল, আবার কখনও স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে যায়। সে দলের কোনো পদে নেই। হেলালেরও একই অবস্থা। শ্রমিক দলের মিছিলে গেলেও কোনো পদে নেই। তারা কেন সেখানে গেছে, তারাই বলতে পারবে।