অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট সাহেদের খালাসের রায় স্থগিত করেছে চেম্বার আদালত
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অস্ত্র মামলায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে খালাস দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। রায় প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তার খালাসের রায় স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৪ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
উত্তরায় গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র মামলায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাহেদকে ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ খালাস দেন।
সেদিন রায়ের বিষয়ে অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি আসল নয়। সেখানে লেখা মেড ইন জাপান ও চায়না। এরকম অস্ত্র কখনো তৈরি হতে পারে না। আর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সাহেদ যে সিটে বসেন তার সামনের সিট থেকে। কিন্তু গাড়ির চাবি উদ্ধার করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয় থেকে। রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি যথাযথভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আদালত তার আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় করা মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এছাড়া অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ) ধারায় তার সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে তখন আদালত রায়ে উল্লেখ করেন।
ওই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানান অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।