সাভার প্রতিনিধি:
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় টানা কয়েকদিনের শ্রমিক অসন্তোষের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও এখনও পুরোপুরি অস্থিরতা কাটেনি। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে খোলেনি অথবা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এমন ৪৫টি কারখানা সাময়িক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এসব কারখানা মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শিল্পপুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার কারখানা মালিক, ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠকের পর বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি সোমবার যেই ১১৯টি কারখানা বন্ধ ছিল, সেগুলোও খোলা থাকবে। তবে আজ সকালে ১৯টি ছাড়া সব কারখানা চালু করা হয়। পরে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের সমঝোতা না হওয়ায় কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত আশুলিয়া এলাকায় ৪৫টি কারখানায় ছুটি রয়েছে। তবে এসব কারখানায় মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা চলছে।
শ্রমিকরা জানান, অনেক কারখানায় মঙ্গলবার উৎপাদন শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কিছু কিছু কারখানা এখনও খোলা হয়নি। গেটে এখনও বন্ধের নোটিশ রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা বাসায় ফিরে গেছেন। শ্রমিকরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। তারা কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নাই। বেশির ভাগ কারখানার মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়েছে। অনেক কারখানায় কাজ পুরোদমে চলছে।
শিল্পপুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি আগের তুলনায় আজ অনেকটাই স্বাভাবিক। অধিকাংশ কারখানা আজ সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু কারখানা গতকাল থেকেই বন্ধ ছিল। কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ২১টির মতো কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল থেকে বন্ধ ১৯টি-সহ মোট ৪৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাইরে কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক ও কারখানার বাইরের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারি, টহল ও অবস্থান অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’