সেলিনা আক্তার:
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারে নানামুখী উদ্যোগের ফলেও অস্থিরতা কাটছে না। সবজি ও চালসহ নিত্যপণ্যের বাজার নানা অজুহাতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। মুরগির বাজার স্বস্তি থাকলেও অন্যান্য পণ্যে হাত দেওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছে সাধারণ ক্রেতাদের। ভোক্তারা বলছেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে নিত্যপণ্যের বাজার। সরকার ঢাক-ঢোল পেটালেও কোনো কর্মসূচি কাজে আসছে না। সিন্ডিকেটের বেড়াজাল ভাঙতে পারছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে।
দেখা যায়, ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে আগের মতোই বাড়তি রয়েছে শাক-সবজি ও মাছের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে সোনালি ও দেশি মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না আলু, পেঁয়াজ, ডিম। চাল এবং শাকসবজির দামও বাড়তি।
১২ নম্বর সেকশনের মুসলিম বাজারের ব্যবসায়ী শরিফুজ্জামান বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-১৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। এ সপ্তাহে দাম ১০-২০ টাকা কমেছে। তবে অন্য কোনো মুরগির দাম কমেনি। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে।
বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম। তবে মৌসুম অনুযায়ী চালের দাম বাড়তি বলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
বাজারে প্রতি কেজি সরু বা চিকন চাল ৭০-৮০ টাকা, আটাশ চাল ৫৫-৬০ টাকা, মোটা চাল ৪৫-৫০ টাকা, নাজির চাল ৭০-৮৫ টাকা, বাসমতি চাল ৮৯-৯০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১২০-১৫০ টাকা, কাটারি ৮০-৯০ টাকা, আমন ৬৫ টাকা, আউশ ৭৫ টাকা ও জিরাশাইল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকায়। যদিও সরকার প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
আর গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ৫০-৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।