অ্যান্ড্রু ব্যারার-গেব্রিয়েল ফেরারির গল্পে ‘ট্রান্সফরমারস ওয়ান’
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
বিনোদন ডেস্ক:
ট্রান্সফরমারস ওয়ান’ অ্যানিমেটেড সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন সিনেমা। এটি ট্রান্সফরমারস সিরিজের ‘ট্রান্সফরমারস এজ অব এক্সটিনশন’ (২০১৪)-এর প্রিক্যুয়েল। এই হলিউড সিনেমাটি অপটিমাস প্রাইম ও মেগাট্রনের উৎস এবং তাদের প্রাথমিক সম্পর্কের চিত্রায়ণ। কীভাবে তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে ট্রান্সফরমারের হোম গ্রহ সাইবারট্রনের ভাগ্য পরিবর্তন করে তা এতে প্রদর্শন করা হয়েছে। ছবিটি হাসব্রো টয় লাইনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত।
অপটিমাস প্রাইম ও মেগাট্রন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল, যারা তাদের হোম গ্রহ সাইবারট্রনের ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে একে অন্যের শত্রুতে পরিণত হয়। গ্রহটি ডিসেপ্টিকন এবং অটোবটস নামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
সুদূর অতীতে অরিয়ন প্যাক্স (অপটিমাস প্রাইম) একজন স্বপ্নদ্রষ্টা ছিল। কিন্তু সে বিদ্রোহী এবং অস্থির, সাইবারট্রনের কঠোর নিয়মে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রেও দুর্দান্ত নয়। পক্ষান্তরে তার বন্ধু ডি-১৬ (মেগাট্রন) সাইবারট্রনের ইতিহাস সম্পর্কে কৌতূহলী। ডি-১৬ তরুণ ট্রান্সফরমারদের মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও নিয়মের অনুসারী। যদিও আইকনের খনি শ্রমিকদের মতো তার কাছে এখনও একটি ট্রান্সফরমার কগ নেই; যা তাকে অন্য রূপ ধারণ করতে দেবে; যাতে সে মেগাট্রন হয়ে উঠবে।
অরিয়ন প্যাক্স সাইবারট্রনের প্রাচীন ইতিহাস থেকে লুকানো গোপনীয়তাগুলো খনন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যেখানে সে একটি হারিয়ে যাওয়া জিনিসমাজিগের সন্ধান পেতে পারে; যা তাদের ক্ষয়প্রাপ্ত শক্তির উৎসগুলো রিচার্জ করতে সাহায্য করবে। অরিয়ন আশা করছে যে আবিষ্কারটি তাকে এবং তার স্বদেশিদের স্বস্তি দেবে। এ প্রকল্পটি সফল হলে তার স্বদেশিদের আর মেট্রোপলিসের যান্ত্রিক শ্রমিকদের মতো খনিতে ঢেঁকির মতো পরিশ্রম করতে হবে না।
অ্যান্ড্রু ব্যারার ও গেব্রিয়েল ফেরারির একটি গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘ট্রান্সফরমারস ওয়ান’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন জোশ কুলি। এ অ্যানিমেটেড মুভির বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন ক্রিস হেমসওয়ার্থ, ব্রায়ান টাইরি হেনরি, স্কারলেট জোহানসন, কিগান মাইকেল, স্টিভ বুসেমি, লরেন্স ফিসবার্ন ও জন হ্যাম। প্যারামাউন্ড পিকচার্স পরিবেশিত ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ব্যাপ্তির ‘ট্রান্সফরমারস ওয়ান’ আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে।