আইসিডিডিআর,বির জরিপ: গর্ভবতী ৫০ শতাংশ নারীর ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গর্ভবতী ৫০ শতাংশ নারীর ওজন প্রয়োজনের তুলনায় কম। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যে হারে ওজন বাড়ে, তা বাড়ছে না ৫০ শতাংশের। এর প্রভাব পড়ছে গর্ভে থাকা সন্তানের ওপরও। ফলে কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে ৩৯ শতাংশ নবজাতক। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইসিডিডিআর,বি) ২০১২-২০১৪ সালে তিন বছরে মাতৃত্বকালীন পুষ্টি নিয়ে জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লার মতলব উপজেলার এক হাজার ৮৮৩ জন গর্ভবতীর নারীর ওপর এ জরিপ পরিচালনা করে।
মঙ্গলবার আইসিডিডিআরবি’র সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. এস এম তাফসির হাসান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মতলব উপজেলার এক হাজার ৮৮৩ জন নারীর মধ্যে ৫৬ শতাংশ গর্ভবতীর ওজন কম বেড়েছে। ২০ শতাংশের ওজন বেড়েছে অতিরিক্ত হারে অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আর ২৪ শতাংশ গর্ভবতীর সঠিকভাবে ওজন বেড়েছে। কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে ৩৯ শতাংশ শিশু অর্থাৎ প্রতি ১০ শিশুর প্রায় চারজন।
ডা. এস এম তাফসির হাসান জানান, কিশোরী বয়সে কোন মেয়ে অপুষ্টিতে ভুগলে সেই প্রভাব পড়ে তার গর্ভকালীন অবস্থায়। কমওজন ও বেশিওজন দুটিই ক্ষতিকর।
গর্ভবতী মায়ের ওজনকম বাড়লে, শিশুর ওজনও কম বাড়ে, ফলে কমওজনের শিশুর ঝুঁকি থাকে। এতে শিশু স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় না। প্রয়োজন হয় সিজারের। আবার প্রয়োজনের তুলনায় শিশুর ওজন বৃদ্ধি বা শিশু বড় হলে, সেক্ষেত্রেও সিজারের প্রয়োজন পড়ে।
এ সমস্যা থেকে উত্তরণে করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারের প্রয়োজন। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটসহ ১০ ধরনের উপাদান প্রয়োজন। এগুলো ঠিক থাকলে একজন মা ও শিশুর ওজন বাড়ার হার ভারসাম্য থাকবে।