আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে প্রথমবারের মতো ভারতের আগরতলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বাংলাদেশের ট্রেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছয়জন স্টাফ নিয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগরে নবনির্মিত রেল স্টেশন থেকে পাঁচ বগির ট্রায়াল (পরীক্ষামূলক) ট্রেনটি আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন, পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রেলপথে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে ট্রেন নিয়ে ভারতের আগরতলায় যাওয়া ট্রেন চালক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘একজন চালক হিসেবে ট্রেন নিয়ে প্রথমবারের মতো আগরতলায় প্রবেশ করছি। বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে।’
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত আছে রেলপথটি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই মেগা প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।’
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত এই রেলপথ চালু হলে আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত এক হাজার ৭০০ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে ৩৫০ কিলোমিটার হবে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় দেড় বছর। করোনাসহ নানা কারণে পাঁচ দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে সাড়ে ছয় কিলোমিটার ও আগরতলা অংশে রয়েছে পাঁচ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশ বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ২৪১ কোটি টাকা।