সেলিনা আক্তার:
আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৪৭৮ কোটি মার্কিন ডলার বা ৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। তবে আগস্টে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। এসময় রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে জুলাই মাসে মোট ৪৫৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। যা আগের অর্থবছরের একই মাসের ৩৯৮ কোটি ডলারের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এবারও এ খাত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জুলাই ও আগস্টে এ খাতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এই দুই মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার, আয় হয়েছে ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের আলোচ্য সময়ে পোশাক থেকে এসেছে ৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্টে) প্লাস্টিক পণ্যে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ, পাদুকায় ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে হিমায়িত মাছ, পাটজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য ও হোম টেক্সটাইলে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি কমেছে ৫৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিরামিকে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং হিমায়িত মাছে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য মোট ছয় হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি ছিল।