আঙুর না কমলালেবু, শীতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কোন ফল

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট:

শীতে নানা রকমের ফলের সমারোহ দেখা যায়। এসব ফলের মধ্যে পুষ্টিগুণের কারণে বিশেষভাবে সমাদৃত কমলালেবু ও আঙুর। কারণ এই ঋতুতে এই দুইটি ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ উপকারী।

তবে এই দুই ফলের মধ্যেও রয়েছে দ্বন্দ্ব। কারণ, অনেকের কাছে কমলালেবু হলো মহৌষধি। কেউ কেউ আবার আঙুরের প্রশংসা করেন। তাদের কথায়, শীতের দিনে এই ফল খেলে কাছে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো নানা ধরনের সমস্যা কমে যায়।

তাই অনেকেরই প্রশ্ন, কমলালেবু না আঙুর, শীতের দিনে কোনটা খেলে বেশি উপকার মিলবে? এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার।

​আঙুরের বিকল্প নেই​ : শুধু স্বাদে নয়, গুণেও আঙুরের জুড়ি নেই। এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত এই ফল খেলে ইমিউনিটির পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। হৃৎপিণ্ডের শক্তি বাড়াতেও এই ফলের জুড়ি নেই। নিয়মিত আঙুর খেলে অনিদ্রার সমস্যাও কমে। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আঙুর রাখতে পারেন।

​কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার​ : স্বাদের কারণে কমলালেবু সবার প্রিয়। এই ফলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ একাধিক জরুরি খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত কমলালেবু খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি অনেকটাই দূর হবে। শুধু তাই নয়, এই ফলের গুণেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। নিয়মিত এই ফল খেলে কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কমলা নাকি আঙুর, কোনটা বেশি উপকারী?​

পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার জানান, কমলা ও আঙুর, দুটি ফলেরই বিশেষ কিছু গুণ রয়েছে। এ কারণে আলাদাভাবে এই দুই ফলের তুলনা করা কঠিন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের আঙুর ফল এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, আঙুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি তাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফল খেলে রক্তে সুগার বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, ওজন বেশি থাকলেও এই ফল না খাওয়াই ভালো। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই কমলালেবু খাওয়া যায়। তাই এইসব বিষয়ে কিছুটা হলেও কমলা এগিয়ে রয়েছে।

আঙুর, কমলালেবু বা যে কোনও ফলই সকালের নাশতা কিংবা দুপুরের খাবার খাওয়ার অন্তত ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর খাওয়া উচিত।

দিনে কতটা ফল খাবেন?
সারাদিনে ১০০ থেকে ২০০ গ্রামের মতো ফল খেলে উপকার মিলবে। তবে এর বেশি ফল না খাওয়াই ভালো বলে মত দেন পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী ।