কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ আতংকে মধ্যে দিনযাপন করছে। ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নিম্ন অঞ্চলের ফসল তলিয়ে গেছে। রোববার দুপুর পর্ষন্ত ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে পদ্মার পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
প্রমত্তা পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক হুমকির মুখে রয়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙন দিনদিন তীব্র আকার ধারণ করছে। আকস্মিকভাবে পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তা ও বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাসেল ভাইপারসহ বিভিন্ন বিষধর সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে । এলাকার দরিদ্রজন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। নদী এলাকার নিম্ন অঞ্চলের ফসল তলিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ, বাহাদুরপুর. মোকারিমপুর ও বাহিরচর ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ আতংকে মধ্যে দিনযাপন করছে। ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কয়েক দফা পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পদ্মার পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও পুনরায় পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী ঘেঁষা উপজেলার চার ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের মানুষ। ইতিমধ্যে চরের বেশ কিছু আবাদি জমিসহ প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। দুর্যোগ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিও নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। নদী তীরবর্তী মানুষ আশঙ্কা করছেন এবারও বন্যা হতে পারে।
ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে চরের আবাদি ও ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠ। রোববার পর্ষন্ত ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে পদ্মার পানি বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। প্রমত্তা পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক হুমকির মুখে রয়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙন দিনদিন তীব্র আকার ধারণ করছে। আকস্মিকভাবে পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তা ও বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাসেল ভাইপারসহ বিভিন্ন বিষধর সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার দরিদ্রজন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। নদী এলাকার নিম্ন অঞ্চলের ফসল তলিয়ে গেছে।
ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিমের দেওয়া তথ্য মতে, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে রোববার পানির উচ্চতা ১১ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে যা বিপদ সিমার ১ দশমিক ৮৬ সেন্টিমিটার নীচে। তবে এই পয়েন্টে বিপদসীমার ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে নদীতে আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বন্যার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
বাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন বলেন, প্রতি বছর পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রায়টা বেড়িবাঁধে পানির আঘাত হানে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারও তাই হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নসহ উপজেলার প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে তা লোকালয়ে এখনো প্রবেশ করেনি। কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে তা ছাড়া চরের আবাদি জমির ধান ও সবজি ডুবে গেছে। পদ্মা নদীতে নতুন পানি এসেছে তবে এখনো কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়নি।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, ভেড়ামারার হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে পদ্মার পানি বিপদ সীমানার নিচে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় খোঁজ রাখা হচ্ছে। বন্যার জন্য আমাদের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উঁচু ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র করা হবে। তবে নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলে বন্যা দেখা দিতে পারে।