নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুরাইয়া মরিয়ম নামে এক গৃহকর্ত্রী স্বামী ও স্কুলপড়ুয়া দুই শিশুসন্তান নিয়ে থাকেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায়। স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। দুই সন্তান উত্তরার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে। সকাল ৮টায় শুরু হয় তাদের ক্লাস। স্কুলে যাওয়ার-আসার একমাত্র পথ দক্ষিণখানের আশকোনা হজক্যাম্প সড়ক।
সুরাইয়া মরিয়ম জানান, আন্ডারপাস নির্মাণকাজে হজক্যাম্প সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচলে বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। এ কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেও এ তথ্য জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ওই এলাকায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের বাস। কেউ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিতে পড়তে হয় বিপাকে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য যে ফুটপাতটি অবশিষ্ট আছে, সেটিও হকারের দখলে।
সূত্র জানায়, ছাত্র আন্দোলনে পতন হওয়া শেখ হাসিনা সরকারের সময় শতাধিক হকার বিমানবন্দর থানা পুলিশকে অর্থের বিনিময়ে ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এখন সেই হকাররাই ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এসব হকার উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ ছাড়া ওই এলাকায় বেড়েছে ড্যান্ডি আক্রান্তদের উৎপাতও। তাদের হয়রানির শিকার স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারী। তবে পুলিশ বলছে, হকারসহ ড্যান্ডি দিয়ে নেশা করা কিশোর-কিশোরীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে।
আশকোনা হজক্যাম্প থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পর্যন্ত আন্ডারপাস নির্মাণকাজ চলছে। আগামী ৪ মাস পর্যন্ত চলবে এ প্রকল্প। এ কারণে বিমানবন্দর মহাসড়ক থেকে আশকোনা হজক্যাম্প সড়কের পূর্ব পাশ পর্যন্ত টিন দিয়ে ঘেরাও করে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।