আন্দোলনে ছাত্রদল নেতা রাব্বী হত্যা মামলায় যুবলীগ কর্মী কারাগারে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শহরের ঢাকা রোডব্রিজ এলাকায় গুলিতে নিহত জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী হত্যা মামলায় যুবলীগ কর্মী তাহিদ মোল্যা (৪৫) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ইছাপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত তাহিদ মোল্যা মাগুরা পৌরসভার পারলা এলাকার প্রয়াত বাদল মোল্যার ছেলে। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বী হত্যা মামলার ১৩ নম্বর আসামি। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও নাশকতা চালানোর অভিযোগে করা আরও একটি মামলার আসামি তিনি।পুলিশ তাকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।এরও আগে, গত জানুয়ারি মাসে রাব্বী হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মাগুরা জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব শিকদার এবং গত মার্চ মাসে মামলার ৯ নম্বর আসামি যুবলীগ কর্মী হেদায়েত কোরাইশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী এহসানুল হক শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, তাহিদ মোল্যা নামের ওই আসামি মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত মেহেদী হাসান রাব্বী হত্যা মামলার ১৩ নম্বর আসামি। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও নাশকতা চালানোর অভিযোগে করা আরেকটি মামলারও আসামি। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পরই আত্মগোপনে চলে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ইছাপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকায় একটি বিল্ডিংয়ে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড পারনান্দুয়ালী ব্রিজের সামনে গুলিবিদ্ধ হন ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বী। রাব্বী নিহতের ঘটনায় ১৩ আগস্ট তার ভাই ইউনুস আলী বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, বীরেন শিকদারসহ ১৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।