আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ১৫৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানী বলেছেন, উত্তারাঞ্চলের বাঘলান, তাখার ও বাদাখশানে বন্যার ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৩৮ জন। উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য এরই মধ্যে হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে তালেবান সরকার। এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে বেসামরিক নাগরিক আটকে পড়ার খবর আসে।
এদিকে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম জানিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাঘলান প্রদেশে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে, যেখানে ১ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, এ ঘটনায় অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। তাছাড়া পানি সরবরাহ ব্যবস্থায়ও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত স্থানে চিকিৎসা দিতে দল পাঠানো হচ্ছে। তবে এ কারণে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘শত শত মানুষ এই ভয়াবহ বন্যায় মারা গেছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। দুর্গতরা নিরাপদ আশ্রয়ে খোঁজে দিগ্বিদিক ছুটছেন। তিনি বলেন, বন্যায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
বাঘলানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ এর আগে এএফপিকে বলেছিলেন, এতে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তিনি বলেন, আকস্মিক এ বন্যায় মানুষ একেবারে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে। অসহায় মানুষগুলো প্রাণ বাঁচাতে সামান্য জিনিসপত্রও নিয়ে যেতে পারেনি। জরুরি বিভাগের কর্মীরা, ধ্বংসস্তূপ বা কাদার নিচে কেউ পড়ে আছেন কি না, তার সন্ধান করছেন। তিনি এই পরিস্থিতিতে সবাইকে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বলেছেন।গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে বন্যা সেখানে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ভয়াবহ এই বন্যায় কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষই এই কৃষির ওপর নির্ভরশীল।