আবারও চারুকলায় চলছে ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ নির্মাণ

প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৫


সানজিদা মাহবুবা:

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলায় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার মূল মোটিফ ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ ফের তৈরি করা হচ্ছে।

রোববার (১৩ এপ্রিল) চারুকলা প্রাঙ্গণে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মোটিফ তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম ইতোমধ্যেই চারুকলা প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতিকৃতিটি দ্রুত তৈরি করতে শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই স্বল্প সময়ে প্রতিকৃতি গড়ার লক্ষ্যে ককশীটের মতো সহজে ব্যবহারযোগ্য উপাদানের ওপর নির্ভর করছেন তারা।

জানা যায়, বর্ষবরণ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রায় ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ রাখার কথা ছিল এবার। তবে দুষ্কৃতকারীরা সেটি শেষ মুহূর্তে এসে পুড়িয়ে দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘এই প্রতিকৃতি শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়। এটি একটি প্রতীক, যা অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অবস্থানের বার্তা দেয়। আমরা একটি বড় দায়িত্ব পালন করছি। বাধা এসেছে, ষড়যন্ত্রও হয়েছে। মানুষের পরিশ্রম, আল্লাহর উপর ভরসা করে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। এতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা এই মুহূর্তে একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করে আসছি। সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানাই।’

ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১ মাস ধরে বানানো একটা প্রতিকৃতি তো এক দিনে বানানো সম্ভব না। দেখা যাক, শিল্পীরা কি করেন। পুরো বিষয়টির দেখভাল এখন শিল্পীদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দক্ষতা ও চেষ্টার ওপর আমরা আস্থাশীল। সময়ই বলবে তারা কী করতে পারে।’

ঢাবি উপাচার্যের আগে আনন্দ শোভাযাত্রার প্রস্তুতি দেখতে চারুকলায় গিয়েছিলেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সেখানে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আমি স্যালুট জানাই। গত এক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তারা। ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ নাশকতার মাধ্যমে পুড়িয়ে ফেলে শিল্পীদের স্পিরিট দমানোর চেষ্টা করলেও, আমি এসে দেখছি শিল্পীদের স্পিরিট দ্বিগুণ হয়ে গেছে। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই- এবারের শোভাযাত্রায় আহ্বান জানাই দেশবাসীদের অংশ নেওয়ার জন্য।’