আবারও মানুষ পুড়িয়ে হত্যায় মেতেছে নাশকতাকারীরা

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩

এসএম দেলোয়ার হোসেন:
সারাদেশে আবারও নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যায় মেতে উঠেছে নাশকতাকারীরা। এবার রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে নাশকতামূলক কর্মকাকান্ড শুরু হয়েছে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা ১২ দফার হরতাল কর্মসূচি ঘিরে বাস-ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মা নাদিয়া আক্তার পপি (৩৫) ও তার ৩ বছরের শিশুসন্তান ইয়াসিনসহ ৪ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন হামীম গ্রæপের পরিবহন শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল হক। তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য অজ্ঞাতনামা দুজনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি ডাকা হরতাল-অবরোধে রেলে নাশকতা বেড়েছে। রেলে এ পর্যন্ত ৪টি নাশকতামূলক ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে কোমলমতি শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছে। তেজগাঁও রেলস্টেশনে সংঘটিত নাশকতার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেলে হতাহতদের দেখতে আসা ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, হরতাল-অবরোধকারীরাই বাস-ট্রেনে নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাচ্ছে। নাশকতাকারীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আজ মঙ্গলবার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।


পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনের সামনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতামূলক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা গেছেন মা নাদিয়া আক্তার পপি ও তার ৩ বছরের শিশুপুত্র ইয়াছিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুজন। সবমিলিয়ে এ ঘটনায় ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সময় প্রাণভয়ে লাফিয়ে নামতে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়েছেন রেলের যাত্রী হামীম গ্রæপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল হক। সহকর্মীরা দ্রæত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।


ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাহজাহান শিকদার নিউজ পোস্টকে বলেন, ঘটনার পরপরই ৫টা ৫মিনিটের দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিট দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও সকাল পৌনে ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার ফাইটাররা। ওই ঘটনায় মা ও তার শিশুপুত্রসহ ৪ জন প্রাণ হারান।


ট্রেনটির কয়েকজন যাত্রী জানান, গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে যাত্রী নিয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে যাচ্ছিল। আজ ভোর ৫টার দিকে ট্রেনটি বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁওয়ে উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পরই তারা দুই বগির মাঝে থাকা ফাঁকা জায়গায় হঠাৎ আগুন দেখতে পান। যাত্রীরা তখন আগুন বলে চিৎকার দিলেও চালক বিষয়টি বুঝতে পারেননি। ততক্ষণে ট্রেনটি তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের কাছে নিয়ে থামান। এরপরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে ছুটে আসেন। তখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। এরপর দমকল বাহিনী আগুন নির্বাপণ করতে সক্ষম হন। এর আগেই ট্রেনে থাকা ৪ জন যাত্রী আগুনে পুড়ে মারা যান। তারা আরও বলেন, যাত্রীবেশে চলন্তবাস-ট্রেনে আগুন লাগিয়ে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে নাশকতাকারীরা। এসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ বাস-ট্রেনের যাত্রা নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার পরিদর্শক মো. ফেরদৌস নিউজ পোস্টকে বলেন, তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘটনাস্থলেই ৪ জন মারা গেছেন। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে নাদিয়া ও তার শিশুসন্তান ছাড়া অন্য দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নাদিয়ার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। তার বাবার নাম ফজলুর রহমান। তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়ায় স্বামী মিজানুর রহমানের সঙ্গে থাকতেন তিনি।

তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাজহারুল ইসলাম নিউজ পোস্টকে বলেন, বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পুড়ে যাওয়া ট্রেনটিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রেলওয়ে ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ৪টি ট্রেনে হামলা হয়েছে। এতে ট্রেনে থাকা মা ও শিশুপুত্রসহ ৫ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।


মন্ত্রী বলেন, গত ১৬ নভেম্বর টাঙ্গাইল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আগুন দেয় এবং এতে দুটি কোচ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এটি সরাসরি রেলের ওপর আক্রমণের প্রথম ঘটনা। এরপর ১৯ নভেম্বর সরিষাবাড়ীতে দাঁড়িয়ে থাকা যমুনা এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। এতে দুটি কোচ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ দুটি ঘটনায় যদিও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে রেলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এরপর ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় একটি কোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৩ ডিসেম্বর রাজেন্দ্রপুরে রেলের পাত উপড়ে ফেলা হয়, এতে দুর্ঘটনায় আসলাম মিয়া (৪৫) নামে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় ৫০ জনের মতো আহত হন এবং রেলের ৬টি কোচ রেললাইন থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। আজ সকালেও তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের ৩টি কোচে পুড়ে যায়। ৪ জন নিহত হয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই। রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে রেলকে সম্পৃক্ত করে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ফেলে জনজীবন যে হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। আমরা নিরাপদ রেলযাত্রা নিশ্চিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। রেলের নিরাপত্তার জন্য ২৭০০ আনসার সদস্য চেয়েছি। দু-একদিনের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, তেজগাঁওয়ে চলন্ত ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় রেলের ডিস্ট্রিক্ট ট্রান্সপোর্ট অফিসারকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুড়িগ্রাম-রংপুর রেললাইনের ঠাটমারী বদ্ধভূমি এলাকার রেল সেতুর নাট চুরি করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রাম রেল স্টেশন মাস্টার মো. শামসুজ্জোহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম রংপুর রেললাইনের ঠাটমারী বদ্ধভ‚মি এলাকায় অবস্থিত রেলসেতুর ওপরের সিøপারের নাট খুলে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুপুরে রেলওয়ের এক ব্যক্তি কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন মাস্টারকে খবর দিলে তারা উপস্থিত হয়ে রেললাইনের কাজ শুরু করেন।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন মাস্টার মো. শামসুজ্জোহা বলেন, হারিয়ে যাওয়া নাটগুলোর স্থলে নতুন নাট বসানো হয়েছে। এখন রেল চলাচলে কোনো সমস্যা নেই।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম নিউজ পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রেল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, নাট চুরির বিষয়টি নাশকতার উদ্দেশ্যে নয়। বরং কেউ নাট গুলো চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে রেল বিভাগ কাজ করেছে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ট্রেনে নাশকতায় হতাহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যারা হরতাল-অবরোধ দিয়েছে তারাই তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়েছে। তিনি বলেন, এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছে।


ডিএমপি প্রধান বলেন, মরদেহের পোস্টমর্টেমের দরকার হবে না। কারণ প্রত্যক্ষভাবে জানা গেছে তারা আগুন পুড়ে মারা গেছেন। এটি যেহেতু রেলওয়ের বিষয়, কমলাপুর রেলওয়ে থানায় এটির বিষয়ে মামলা হবে। তিনি বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। অতীতেও পার পায়নি। বাস-ট্রেনে জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ও রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, যারা নাশকতা করছে, তাদের বিদেশি নেতাদের দেশীয় এজেন্ট-অনুসারীদের দিয়ে এসব কাজা করানো হচ্ছে, যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। নিহতদের মধ্যে বাকি দুজনের ডিএনএ সংগ্রহ করে অচিরেই তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হবে। এরপর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইনে নাশকতার ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভ‚ঁইয়াসহ ৪ আসামির প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য তিন আসামি হলেন- সাইদুল ইসলাম, জুলকারনাইন হৃদয় ও সোহেল রানা।


এদিকে তেজগাঁওয়ে ট্রেনে নাশকতা ঘটনার রেশ না কাটতেই আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে জিপিওর সামনে মালঞ্চ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিউজ পোস্টকে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা লিমা খানম। এর আগে হরতালের সমর্থনে গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ থানাধীন ফকিরহাটের কাঞ্চননগর বাদামতল এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।


এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চন্দনাইশ থানায় যোগাযোগ করা হলে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম ওবায়দুল ইসলাম নিউজ পোস্টকে বলেন, বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। কীভাবে আগুন লেগেছে তাও নিশ্চিত কওে কেউ পুলিশকে জানাতে পারেনি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী মামলা হবে? কারও কোনো অভিযোগ নেই। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে তদন্ত করা হবে। এবং কারো কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।