‘আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে বাঁচতে সহযোগিতা করুন’

প্রকাশিত: ২:২১ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

মোহাম্মদ ফারহানের (১৩) স্বপ্ন ছিল কোরআনের হাফেজ হয়ে একজন দেশ বরেণ্য আলেম হওয়ার। ২১ পারা কোরআন হেফজও শেষ করেছে সে। এরমধ্যে জানতে পারে সে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। মরণব্যাধী ক্যান্সার তাকে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে রেখেছে হাসপাতালের বিছানায়।

ফারহান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চরচামিতা গ্রামের মো. মাহফুজুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

ফারহানের বাবা মো. মাহফুজুর রহমানও ডান পায়ে প্যারালাইজড হয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে ঘরে শয্যাশায়ী। অল্প হাঁটাচলা করতে পারলেও কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় তাদের সংসার চলে। এক আত্মীয়ের জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে বসবাস তাদের। অসুস্থ বাবা ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
ফারহান বলেন, যখন ব্যথা উঠে তখন খুব কষ্ট হয়। এ কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। আমি বাঁচতে চাই। সহপাঠীদের সঙ্গে কোরআন পড়তে চাই। আমি কোরআনে হাফেজ হয়ে একজন ভালো আলেম হতে চাই। আমার প্রতি দয়া করুন। আমাকে বাঁচতে সহযোগিতা করুন।

ফারহানের বাবা মাহফুজুর রহমান ও মা আনোয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ফারহান পড়ালেখায় ভালো ছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরআনের প্রায় ২১ পারা আয়ত্ত করে নিয়েছে। কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও পেয়েছে। ছেলেটি এখন অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। ছেলেটিকে সুস্থ করতে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হাত পেতেছি। সবাই সাধ্যমতো সহযোগিতাও করেছেন। আরও প্রায় আড়াই বছর তার চিকিৎসা করাতে হবে। এতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু এত টাকা জোগাড় করার মতো সাধ্য আমাদের নেই। ফারহানকে সুস্থ ও হাসি-খুশি দেখতে সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহায়তার আকুতি জানান তার বাবা-মা।
হাজিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আজমির হোসেন বলেন, ফারহান খুব হাস্যোজ্জ্বল ছিল। তার অসুস্থতা পুরো পরিবারকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। বিত্তবানদের তার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা ও নম্বর

বিকাশ : +৮৮০১৮৮৪২১৬৯৫২

সোনালী ব্যাংক পিএলসি হিসাব নং-৩৯০২১০০০১৬০৫৯ চন্দ্রগঞ্জ শাখা, লক্ষ্মীপুর।