আমিরাতে গাড়ির ভেতর শিশুর মৃত্যু, চালককে ক্ষমা বাংলাদেশি বাবার
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গাড়ির মধ্যে দমবন্ধ হয়ে বাংলাদেশি এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চালককে ক্ষমা করে দিয়েছেন শিশুটির বাবা।
মৃত ওই শিশুটির বয়স ৭ বছর এবং তাকে লক করা গাড়ির ভেতরে রেখে যাওয়ার পর শ্বাসরোধে সেখানেই মারা যায় সে। গত সোমবার (৬ মে) আরব আমিরাতের শারজাহতে এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার শারজাহতে একটি লক করা গাড়িতে রেখে যাওয়ার পরে ৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি ছেলে শ্বাসরোধে মারা গেছে বলে মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শারজাহের আল শাহবা এলাকায় গাড়ির ভেতরে একটি শিশু মারা গেছে বলে গত সোমবার বিকেলে তথ্য পায় তারা। পরে পুলিশের সংশ্লিষ্ট দলগুলো ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ছেলেটির বাবা-মা তার সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন নারী চালককে কাজ দিয়েছিলেন। ওই নারী আরও অনেককে এভাবে স্কুলে পৌঁছে দিতেন। ঘটনার দিন স্কুলে পৌঁছানোর পর ৭ বছরের ওই শিশু ছাড়া সবাই গাড়ি থেকে নেমে পড়ে।
পরে চালক গাড়িটি স্কুলের পাশে পার্ক করেন এবং গাড়িটি খালি নাকি ভেতরে কেউ রয়েছে তা নিশ্চিত না করেই গাড়িটি লক করে চলে যান। এরপর পেরিয়ে যায় দীর্ঘ সময়। পরে বিকেলে স্কুল ছুটির সময় ফিরে এসে তিনি গাড়ির ভেতরে শিশুটিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান।
এরপর সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শিশুটিকে আল কাসিমি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গালফ নিউজ বলছে, ঘটনাটির তদন্ত করছে ওয়াসিত থানা পুলিশ। পুলিশ বলেছে, ছেলেটির বাবার ‘ক্ষমা এবং তার ছেলের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তাকে (চালককে) অভিযুক্ত করতে অনিচ্ছার কারণে ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি; তবে তাকে কেবল অন্য কোথাও ভ্রমণে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।’
এদিকে এই ঘটনার আলোকে শিশুদের স্কুলে আনা-নেওয়ার জন্য লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারদের চুক্তিবদ্ধ করার বিপদ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সতর্ক করেছে শারজাহ পুলিশ জেনারেল কমান্ড।
যথাযথ নিরাপত্তা সম্পর্কে এই ধরনের চালকদের অজ্ঞতার কারণে এগুলো শিশুদের জীবনের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে।
এর পরিবর্তে শিশুদের পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট স্কুল বাসগুলো ব্যবহার করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শারজাহ পুলিশ জেনারেল কমান্ড। কারণ এই ধরনের বাসগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত এবং কর্তৃপক্ষ এসব বাসগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে ক্রমাগত নজরদারি করে থাকে।