আয়হীন মানুষকে দিয়ে বাসে আগুন দিতে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে: ডিএমপি
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
সাইফুল ইসলাম:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, যাদের সুনির্দিষ্ট আয়ের পথ নেই, সেই আয়হীন মানুষকে দিয়ে খাবারের বিনিময়ে বাসে আগুন দিতে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকে গত ১ মাসে বাসে আগুন দেওয়ার সময় এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের সুনির্দিষ্ট আয়ের পথ নেই, সেইসব মানুষদের দিয়ে টাকার বিনিময়ে আবার কখনো খাবারের বিনিময়ে বাসে আগুন দিতে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন নেতার নির্দেশনার পর এটি বাস্তবায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নয়, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিক ও পরিবহন খাতে সেবা দানকারী ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের জনগণ নাশকতাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে পুলিশকে সহায়তা করে আসছে। এজন্য তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পল্লবী থানার ৭ নম্বর রোডের কেএফসির সামনে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মো. আসাদুল তালুকদার ও মো. ইউসুফ শেখ নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা জনমনে ভয়-ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টির জন্য স্থানীয় এক বিএনপি নেতার নির্দেশে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে পল্লবী এলাকার ওই বাসে আগুন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার প্রবেশমুখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ যাতে দ্রুততম সময়ে রেসপন্স করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির পল্টন কার্যালয় এখনো তালাবদ্ধ, এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, যাদের অফিস তারাই তালাবদ্ধ করে রেখেছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সে যে অবস্থানেই থাকুক সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। আমরা আসামিকে আসামি হিসেবেই গ্রেফতার করছি।
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, অনেক জায়গায় খবর প্রচার করা হয় যে, হরতাল-অবরোধের কারণে ট্রেডিশনাল ক্রাইমের দিকে পুলিশের নজর কম। কিন্তু বিষয়টি সঠিক নয়, সবদিকেই আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। যেখানে যে ঘটনা ঘটছে প্রতিহত করা সম্ভব হলে সেটি প্রতিহত করা হচ্ছে। আর প্রতিহত করা সম্ভব না হলে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুততম সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কর্মসূচির নামে এ ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের উদ্দেশ্য কখনো সফল হবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে বদ্ধপরিকর। এটা পুলিশের দায়িত্ব আর এই দায়িত্বের অবস্থানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সুদৃঢ় অবস্থানে ছিল, আছে এবং থাকবে বলেও জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।