আরও ১৮৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৮৭৭২

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২১
কঠোর বিধিনিষেধেও সাধারণ মানুষ নানা অজুহাতে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে। সড়ক, ফুটপাত অলিগলি সব জায়গায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ছবি লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১৮৫ জন মানুষ। তাদের নিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসাবে মোট মারা গেলেন ১৬ হাজার ১৮৯ জন। এ ছাড়া গত একদিনে এই মহামারিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৭৭২ জন।

শনিবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা গতকালের (৯ জুলাই, ১১ হাজার ৩২৪ জন) চেয়ে কম। শনাক্ত হওয়া রোগীর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে কম। গতকাল ৩৬ হাজার ৫৮৬টি পরীক্ষা হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৮৮৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। নতুন শনাক্ত হওয়া আট হাজার ৭৭২ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে করোনাতে মোট শনাক্ত হলেন ১০ লাখ নয় হাজার ৩১৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৫৫ জন আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৬ হাজার ২৩১টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৮৮৪টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪১১টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৭৪১টি।

দেশে করোনাতে এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৮৬ দশমিক শূন্য এক শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৮৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১২১ জন আর নারী ৬৪ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন ১১ হাজার ৩৭৫ জন আর নারী মারা গেছেন চার হাজার ৮১৪ জন।

১৮৫ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ রয়েছেন ৯২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।

বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৭০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২০ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, খুলনা বিভাগের ৫১ জন, বরিশাল বিভাগের ১০ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, রংপুর বিভাগের ১১ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন তিনজন।

১৮৫ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ১২ জন আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।