আরিফের জবানবন্দিতেই ফেঁসে যান তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর জবানবন্দিতেই ফেঁসে যান তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী। করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া ফল দেয়ার ঘটনায় সাবরিনার সম্পৃক্ততার কথা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন আরিফ। আরিফের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও দুজনও একই তথ্য জবানবন্দি দিয়েছে পুলিশকে। এরপরই সাবরিনাকে ডাকা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের করোনা টেস্ট কেলেঙ্কারিতে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্পষ্ট হয় পুলিশ। এরপরই রোববার এই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদ খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ দাবি করেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার জালিয়াতির ঘটনায় তিনি সাবরিনাসহ ৪ জনকে চাকরিচ্যুত করেন। তবে একজন সিইও হয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে চাকরিচ্যুত করতে পারেন কি না, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে আরিফ কোনো উত্তর দিতে পারেননি। কাউকে চাকরিচ্যুতির কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. মাহমুদ খান আরও জানান, ওভাল গ্রুপের সিইও আরিফুল চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি পুলিশ জানান, করোনার নমুনা পরীক্ষার জালিয়াতির সঙ্গে তার অফিসের কিছু লোক জড়িত ছিল। যখন তিনি বিষয়টি জানতে পারেন, তখন তাদেরকে তিনি চাকরি থেকে বাদ দিয়ে দেন। তাদের মধ্যে সাবরিনাও আছেন।
সাবরিনা চৌধুরী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ও ফেসবুক স্ট্যাটাসে জেকেজির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের কথা বলেছে। এ সম্পর্কে পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদ খান বলেন, তিনি বলার চেষ্টা করছেন, তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান নন। কিন্তু তিনিই যে জেকেজির মুখপাত্র, সেটি সবাই জানেন। তিনি নিজে ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারণা চালিয়েছেন। কথা বলেছেন। আর তিনি যে জেকেজি থেকে বেরিয়ে গেছেন, এমন কোনো পদত্যাগপত্র তো তিনি জমা দেননি। ওভাল গ্রুপ ও জেকেজি হেলথ কেয়ার কোম্পানির কাগজপত্র জব্দের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করে আসা ডা. সাবরিনা জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীর স্ত্রী। সে কারণে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী নামেই তিনি পরিচিত। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ওভার গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা এ চৌধুরী।