শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের গারো পাহাড়ে আনন্দমুখর পরিবেশে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মহা খ্রিষ্টযাগের (মূল প্রার্থনা) মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ উৎসব।
‘প্রার্থনার অনুপ্রেরণা ফাতেমা রানী মা মারিয়া, যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বাস করে’– এই মূল সুরে ২৬তম বার্ষিক তীর্থ উৎসব শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। পাপ স্বীকারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। পরে পুনর্মিলন সংস্কার, পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, জপমালার প্রার্থনা, আলোক শোভাযাত্রা, নিশি জাগরণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের অনুষ্ঠান। এখানে মূল আকর্ষণ আলোর শোভাযাত্রায় মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো গারো পাহাড়।
বারোমারী ধর্মপল্লীর ফাদার তরুণ বনোয়ারী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে পাপ স্বীকারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের উৎসব। পরে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, আলোক শোভাযাত্রা, সংক্রান্তের আরাধনা, নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠান হয়। শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ ও মহা খ্রিষ্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
ঢাকা মহাধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ বলেন, তারা দুই কিলোমিটার পাহাড়ি ক্রুশের পথ অতিক্রম শেষে ৪৮ ফুট উঁচু মা মারিয়ার কাছে নিজেদের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য মানত করেছেন। তীর্থ উৎসবের মাধ্যমে এবার বিশ্বমানবতার কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়েছে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলামের ভাষ্য, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কঠোর নিরাপত্তায় শেষ হয়েছে এবারের তীর্থ উৎসব।