
ডেস্ক রিপোর্ট:
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা নিজেকে মুমিন ও ঈমানদারদের অভিভাবক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বর্ণিত হয়েছে—
اَللّٰہُ وَلِیُّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۙ یُخۡرِجُہُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوۡرِ ۬ؕ وَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَوۡلِیٰٓـُٔہُمُ الطَّاغُوۡتُ ۙ یُخۡرِجُوۡنَہُمۡ مِّنَ النُّوۡرِ اِلَی الظُّلُمٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ
আল্লাহ মুমিনদের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে আসেন। আর যারা কুফর অবলম্বন করেছে তাদের অভিভাবক শয়তান, যারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তারা সকলে অগ্নিবাসী। তারা সর্বদা তাতেই থাকবে। (সূরা বাকারা, আয়াত : ২৫৭)
অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা এই আয়াতে জানিয়েছেন, যারা তার সন্তুষ্টি কামনা করে তাদেরকে তিনি শান্তির পথ প্রদর্শন করবেন এবং সন্দেহ, কুফর ও শিরকের অন্ধকার থেকে বের করে সত্যের আলোর দিকে নিয়ে আসবেন।
এর বিপরীতে শয়তান কাফিরদের অভিভাবক। শয়তান তাদেরকে অজ্ঞতা, ভ্রষ্টতা, কুফর ও শিরককে সুন্দর ও সজ্জিত আকারে প্রদর্শন করে ঈমান ও তাওহীদ থেকে সরিয়ে রাখে এবং সত্যের আলো থেকে সরিয়ে অসত্যের অন্ধকারে নিক্ষেপ করে। আর যারা শয়তানের পথ অনুসরণ করে তারাই কাফির ও তারাই জাহান্নামের মধ্যে চিরকাল অবস্থান করবে।
মুমিনদের জেনে রাখা উচিত যে, হক, ঈমান ও সত্যের পথ একটিই। কিন্তু কুফর কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। কুফরের অনেক শাখা রয়েছে ওইগুলো সবই বাতিল ও অসত্য। যেমন অন্য জায়গায় বর্ণিত হয়েছে—
আমার সঠিক পথ এটাই, সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর; অন্যান্য পথসমূহে চলো না, নতুবা তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে; এভাবেই তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন যেন তোমরা বাঁচতে পার (৬:১৫৩)।
হজরত আইয়ুব বিন খালিদ (রা.) বলেন যে,ইচ্ছা পোষণকারীদেরকে অথবা পরীক্ষাকৃতদেরকে উঠানো হবে। অতঃপর যার কামনা শুধুমাত্র ঈমানই হবে সে ঔজ্জ্বল্যপূর্ণ চেহারা বিশিষ্ট হবে; আর যার কুফরের বাসনা হবে সে কৃষ্ণ ও কুৎসিত চেহারা বিশিষ্ট হবে। অতঃপর তিনি এই আয়াতটি পাঠ করেন।