সাভার প্রতিনিধি:

ঢাকা সাভারের আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জেরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আশপাশের পাঁচটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শ্রমিকরা হলেন– হালিমা খাতুন, ববিতা আক্তার, মোর্শেদা খাতুন ও চম্পা খাতুন। তাদের মধ্যে হালিমা খাতুন স্থানীয় সুসুকা গার্মেন্টসের শ্রমিক, বাকিরা জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে চম্পা খাতুন ও মোর্শেদাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বুধবার সকালে বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানাটির সামনে একত্রিত হন শ্রমিকরা। পরে তারা পার্শ্ববর্তী সিগমা অ্যাপারেলস, ডি-সান, সুসুকা, জি-ম্যাক্স ও শিনশিন পোশাক কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সেখানকার শ্রমিকদের বের করে এনে আন্দোলনে নামান।
এ ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা কারখানার সামনে থেকে গিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। এতে ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শিল্প পুলিশ-১-এর এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে কয়েকদিন ধরে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। আজ সকালে কারখানাটির শ্রমিকরা অন্যান্য কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের বের করে আনছিলেন। এ সময় ভয় দেখাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাড়কের কোহিনুর গেট এলাকায় মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন গিল্ডান শাহরিয়ার কারখানার শ্রমিকরা। দুপুরে কারখানাটির কয়েক হাজার শ্রমিক ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শ্রমিকরা দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করেন।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সমকালকে বলেন, শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে, তখন সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পুলিশ কোনো গুলি করেনি। এ ছাড়া গিল্ডান শাহরিয়ার কারখানার শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে।

আশুলিয়ার জামগড়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক আসাফ উদ্দৌলা রিজভী বলেন, চম্পা খাতুন ও মোর্শেদা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জেরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আশপাশের পাঁচটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শ্রমিকরা হলেন– হালিমা খাতুন, ববিতা আক্তার, মোর্শেদা খাতুন ও চম্পা খাতুন। তাদের মধ্যে হালিমা খাতুন স্থানীয় সুসুকা গার্মেন্টসের শ্রমিক, বাকিরা জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে চম্পা খাতুন ও মোর্শেদাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।