আশুলিয়ায় বস্তাবন্দি জীবিত শিশু উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ইগনিট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গলি থেকে গলায় গামছা পেঁচানো ও বস্তাবন্দি অবস্থায় হুমায়রা নামে আড়াই বছরের এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৪ জুন) সকালে শিশুটি নিখোঁজ হয়। দুপুরের দিকে কান্নার শব্দ পেয়ে  ইগনিট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গলি থেকে তুহিন নামে এক শিক্ষক বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে বস্তা খুলে শিশুটিকে গলায় গামছা পেঁচানো জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করেন শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম।

তিনি নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, আজ সকালে নিজ বাসার সামনে খেলতে গিয়ে আমার মেয়ে হুমায়রা নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি পর লোকমুখে জানতে পারি আমার শিশু কন্যা হুমায়রাকে আশুলিয়ায় ইগনিট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের গলি জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তুহিন নামের এক শিক্ষক গলায় গামছা পেঁচানো ও বস্তাবন্দি অবস্থায় হুমায়রাকে উদ্ধার করেন। এরপর ওই শিক্ষকের বোন হুমায়রাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। আমরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে দেখতে পাই। সেখানে মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ছয় মাস আগে আমার সমন্ধীর ছেলেকে প্রতিবেশী শাহিনুর বেগম ভাতের মাড় (ফ্যান) দিয়ে ঝলসে দেন। এ নিয়ে বাসার মালিকের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক হয়। সালিশিতে বসা নিয়ে শাহিনুর আমার সমন্ধিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এই নিয়ে আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও গালিগালাজ করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনার জেরে শাহিনুর বেগম আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করছি। ঘটনাটি থানায় জানানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, আশুলিয়া থেকে একশিশুকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, ওই শিশুকে গলায় গামছা পেঁচানো ও বস্তাবন্দি জীবিত অবস্থায় এক শিক্ষক উদ্ধার করেন। পরে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।