আশুলি(সাভার) প্রতিনিধি:
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা তিন দিন ধরে চলে আসা আশুলিয়ার পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষ পরিস্থিতি আজ অনেকটাই শান্ত। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে আশুলিয়ার ৩২ টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
আজ বুধবার (০১ নভেম্বর) সকালে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর এলাকায় ঘুরে কোনো শ্রমিকদের জড় হতে দেখা যায়নি। বিক্ষোভ বা মিছিলের কোনো ঘটনায় ঘটেনি।
তবে সড়কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামগড়া ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত এনভয়, হা-মিম, ডেকো, শারমিন, এফএনএফ, দি রোজ, পলমলসহ ৩২ টি কারখানায় সাধারণ ছুটি চলছে। ফ্যাশন ফোরাম, আইডিএস, উচ্ছো ফ্যাশন নামে আরো ৩ টি কারখানায় সকালে শ্রমিকরা গেলে তাদেরও ছুটি দেওয়া হয়।
এছাড়া জিটকো নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা নিজেরাই কারখানা থেকে সকালে বের হয়ে যায়।
শুধুমাত্র নাসা গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা সকালে বিক্ষোভের চেষ্টা করেছিল, পুলিশের অবস্থানের কারণে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং পরে আর সড়কে আসেনি।
সাজোয়া যান, জলকামানসহ পুলিশের উপস্থিত রয়েছে এই সড়কটি বিভিন্ন স্থানে। এর পাশাপাশি সড়কে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন কারখানা গতকাল বন্ধ দিয়ে নোটিশ দিয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ বুধবার সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) সকাল থেকে কারখানার কার্যক্রম সচল থাকবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাভার-আশুলিয়া-ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘৩২ টি কারখানায় সাধারণ ছুটি চলছে। আরো কিছু কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি কারখানায় অনির্দষ্টাকালের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে।
আমরা আশা করছি আগামীকাল থেকে সব কারখানা পুরো দমে কাজ শুরু করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের আহ্বানে আমরা ৩৫ টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা একসাথে বসে জরুরী বৈঠক করি। পরে সে বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে আমরা শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের সঠিক বার্তা পৌছে দিব। রাতে আমরা আমাদের সাধ্যমত সেটাই করেছি। ফলশ্রুতিতে আজ আশুলিয়ার পরিবেশ অনেকটাই শান্ত।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘গত দিনগুলোর চেয়ে আজকের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। অনেক কারখানা চলছে, কিছু কারখানা বন্ধ রয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। রাস্তার পাশে কিছু কারখানা বন্ধ রয়েছে।’