ইসলামিক ডেস্ক:
ইসলাম পূর্ব যুগে এক অঞ্চলের মানুষেরা আল্লাহ তায়ালাকে ভুলে মূর্তি পূজা করতো। সেই অঞ্চলেল সম্ভ্রান্ত সাত যুবক মূর্তি পূজা থেকে নিজেদের দূরে থাকতো। মানুষের নিজ হাতে বানানো মূর্তি পূজার ব্যাপারটি তাদের বিবেকে নাড়া দিতো। তারা সবাই লোকালয় থেকে লুকিয়ে নির্জনে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করতেন।
এদিকে আল্লাহর প্রতি তাদের ঈমান আনার কথা জানতে পারলো সে যুগের খোদাদ্রোহী শাসক। সে তাদের আবারও মূর্তি পূজার আহ্বান জানালো এবং ইসলাম থেকে সরে আসতে বললো। কিন্তু সেই যুবকেরা আসমানী ধর্মের ওপর অটল থাকার সিদ্ধান্ত নিলো। বাদশা তাদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।
শাস্তির কথা জানতে পেরে সেই সাত যুবক নিজেদের ঈমান বাঁচানোর জন্য শেষ পর্যন্ত গুহায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। গুহায় আশ্রয় নিয়ে তারা সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। এক ঘুমেই কয়েক’শ বছর কেটে যায় তাদের।
এরপর যখন তাদের ঘুম ভাঙে তার লোকালয়ে গিয়ে দেখেন, সেই খোদা বিরোধী বাদশা আর নেই। বর্তমান সমাজের মানুষদের অনেকেই আসমানী ধর্ম ও আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী। সেই যুবকেরা আবারো গিয়ে গুহায় ঘুমিয়ে পড়েন।
তাদের সেই ঘটনাকে স্মরণীয় করে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সূরা কাহাফ অবতীর্ণ করেছেন।
এই যুবকদের সংখ্যা কত তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। তবে অনেকের মতেই তাদের সংখ্যা সাতজন। এই যুবকের নাম কী ছিল এ বিষয়েও বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তাদের যে নামগুলো জানা যায় তা সহিহ হাদিস থেকে প্রমাণিত নয়। তাফসির ও ঐতিহাসিক রেওয়াত থেকে বিভিন্ন নাম জানা যায়। তম্মধ্যে তাবারানী মু’জামুল আওয়াত গ্রন্থে বিশুদ্ধ সনদে হজরত ইবনে আব্বাসের থেকে যে নামগুলো পাওয়া গেছে, তা তুলে ধরা হলো—
মুফসালমিনা, তামলিখা, মরতুনুস, সুনুনুস, সারিনুতুস, যুনওয়াস, কায়াস্তাতি-য়ুনুস।