আচরণবিধি লঙ্ঘণের দায়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আগামী দুদিনের মধ্যে তাকে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে। সোমবার আতিকুলের কাছে এই নোটিস পাঠিয়েছেন এই নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। এর পরে প্রতীক পেয়ে প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা।
ইতিমধ্যে রোববার সকালে উত্তরায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন ওই ক্যাম্প উদ্বোধন করেন।
প্রতীক পাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। সংসদ সদস্যসহ মন্ত্রীদেরও স্থানীয় এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আতিকের বিরুদ্ধে শনিবারও প্রচার কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
আতিকুলের নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের নির্দেশের একদিন পর কারণ দর্শানোর এই নোটিস দেয়া হয়েছে।
উত্তরায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করায় কেন আচরণবিধি লংঘিত হবে না; তা জানতে চাওয়া হয়েছে এতে। আতিকুল নির্বাচনী আচরণবিধির ৫ ও ২২ ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বড় দলগুলো অংশ নেয়ায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ইতিবাচক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংশ্লিষ্টরা।
তবে তাদের অভিমত- সবকিছুই নির্ভর করছে শেষ পর্যন্ত দলগুলোর মাঠে অবস্থান করা এবং প্রচারে প্রার্থীদের সমান সুযোগ পাওয়ার ওপর।
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রচার কার্যক্রম ভোটের আগ পর্যন্ত উৎসবমুখর হলে প্রার্থীরাই ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন।
এসব বিবেচনায় প্রার্থীদের নির্বিঘ্ন প্রচার ও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর ব্যাপারে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে ইসি।
ইতিমধ্যে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পুরনো মামলায় কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দু’জন নির্বাচন কমিশনার ও কয়েকজন নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।