নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সরকার আজকে ভিন্ন মত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, কেউ আওয়ামী লীগ, কেউ বিএনপি, কেউ অন্য দল করবে— এভাবেই সারা দুনিয়া চলে আসছে। আমরা আশা করবো সরকার মানুষকে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর মগবাজারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বাসায় পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, সরকারকে মানুষের ভোটের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা মুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে চাই। কথা বলার স্বাধীনতা চাই।
দেশ গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন হয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। এটা সারা দুনিয়া বলছে। তাহলে আমরা এদেশে কীভাবে বাস করবো।
বর্তমান সরকারের অধীনে বিগত তিনটি নির্বাচনের ইতিহাসের দিকে তাকানোর আহ্বান জানিয়ে মঈন খান বলেন, দেশের ১২ কোটি ভোটার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে।
ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে— আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, সরকারের অভিযোগ সত্যি নয়। বিএনপি যদি বিদেশিদের ওপর নির্ভর করতো, তাহলে সারা বছর এসি রুমে বসে সিনেমা দেখতো। কিন্তু বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে, সভা-সমাবেশ করছে। সারাদেশে পদযাত্রা করেছে। সরকারের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
রবিউল ইসলাম নয়নের বাবা আক্কাস শেখ বলেন, আজ ১৫ বছর ধরে আমার ছেলে বাসায় থাকতে পারে না। ছেলের চেহারা দেখতে পারি না। কোথায় আছে জানি না। রাজনীতি করার কারণে দুইবার আমার ছেলেকে গুলি করা হয়েছে। একবার গুলি করার পর মৃত ভেবে নয়নকে মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। নয়নের বিরুদ্ধে আড়াই শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১০০ দিনের বেশি রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। হাত পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি করাই আমার ছেলের অপরাধ।
এসময় নয়নের শাশুড়ি শিরিনা পারভীন ও স্ত্রী শাম্মাী আক্তার মুগ্ধ উপস্থিত ছিলেন