আ.লীগ সরকার টেলিকম খাতকে লুটপাটের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে

প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, বিগত সরকার টেলিকম খাতকে লুটপাটের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাই এই খাতের দুর্নীতির বিষয়গুলো শ্বেতপত্রের মাধ্যমে প্রকাশের দাবি করছি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, বিগত সরকার নিজেদের পলিটিক্যাল অপারেশন ধামাচাপা দিতে ইন্টারনেট শাটডাউন করেছিলো। এটা আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে বিটিআরসিকে স্বাধীন কমিশন করা দরকার। বিএনপির ৩৩ দফার মধ্যে ৯ম দফায় সব সংবিধিবদ্ধ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে বিটিআরসি এখন পর্যন্ত রেগুলেট করে বাধা সৃষ্টি করছে। লাইসেন্সিং দেওয়ার ক্ষেত্রে ৭-৮টি লেয়ার তৈরি করেছে। এটা রিফর্ম (পুনর্গঠন) করতে হবে। অবকাঠামো শেয়ারের জন্য বাস্তবভিত্তিক উদ্যোগ নিতে হবে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষায় আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

 

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য খাতের মতো টেলিকম খাতেও নীরবে নিভৃতে লুটপাট চালানো হয়েছে। এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা জানতে টেলিকম খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। জনগণের করের টাকায় বানানো ইনফোসরকার-১, ইনফোসরকার-২ এর মতো অবকাঠামো বিশেষ ব্যক্তির বা কোম্পানিকে অথরিটি করে দিয়ে তাদের পার্সোনাল প্রপার্টির ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছে। সেখানে একচেটিয়া কারবারের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সহজ ও সুলভ করতে ইনফো সরকার করা হলেও এটা নিয়ে ডুয়োপলি-মনোপলি করে অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। এটা প্রতিরোধে নীতিমালা করার আহ্বানও জানান তিন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালেদ আবু নাসের, আইএসপিএবির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, আইআইজিবি সভাপতি আমিনুল হাকিম, বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর, রবির সিনিয়র ডিরেক্টর অনামিকা ভক্ত, গ্রামীণফোনের হোসেন সাদাত, এমটব এর হেড অব কমিউনিকেশন আব্দুল্লাহ আল মামুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিকম বিশেষজ্ঞ মুস্তাফা মাহমুদ হুসাইন।