জেলা প্রতিনিধি,কুমিল্লাঃ
অবশেষে বসতভিটা ফিরে পেলেন অসহায় বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম। ভুক্তভোগী নারী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের বড় ধর্মপুর গ্রামের মৃত মো. মোস্তফার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৯ মে)কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া খানমের হস্তক্ষেপে বসতবাড়ির জায়গা ফিরে পান ঐ বৃদ্ধা।এর আগে পুত্র ও পুত্রবধূ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে বসতভিটা কেড়ে নিয়ে বাড়িছাড়া করে মর্জিনা বেগমকে।
শুক্রবার ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, বিগত সময়ে তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। তখন চাকুরির টাকায় ১২ শতক জায়গা ক্রয় করে ৬ শতক তার স্বামীর নামে এবং বাকি ৬ শতক নিজের নামে কাগজপত্র করেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর বর্তমানে স্বামীর সম্পত্তিসহ তার সম্পত্তিটুকু (বসতভিটা) তার পুত্র, পুত্রবধূ ও ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন মিলে তাকে মারধর করে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম জানান, সম্প্রতি ঐ বৃদ্ধা মারধরে আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার কাছে এসে অভিযোগ করলে তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং বৃদ্ধাকে তার জায়গা (বসতভিটা) বুঝিয়ে দিয়ে তার নামে জায়গার খারিজ করিয়ে দেন। ঐ বৃদ্ধার ইচ্ছা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বসতভিটা বিক্রি করিয়ে সমুদয় টাকা নিজে উপস্থিত থেকে অফিসের গাড়িতে করে নিয়ে ভুক্তভোগী মর্জিনা বেগমের ব্যাংক একাউন্টে জমা করিয়ে দেন।এদিকে পুত্র-পুত্রবধূর নির্যাতন থেকে রক্ষাসহ অধিকার ফিরিয়ে দেয়ায় অসহায় বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম ইউএনও, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।