আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো শনিবার বলেছেন, প্রতিবেশী ইউক্রেন সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সামরিক সহায়তার বিরুদ্ধে ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরোধী পপুলিস্ট রাজনীতিবিদ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। খবর এএফপির।
ফিকো পাবলিক ব্রডকাস্টার আরটিভিএসকে বলেন, ইউক্রেন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ নয়। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে। স্লোভাকিয়া ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উভয়েরই সদস্য।
‘আমি তাকে বলবো আমি ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্য হওয়ার বিপক্ষে এবং আমি এতে ভেটো দেবো। এটি শুধু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিত্তি হবে, অন্য কিছু নয়’
– রবার্ট ফিকো
প্রধানমন্ত্রী, স্লোভাকিয়া
বুধবার স্লোভাকিয়ার সীমান্তে পশ্চিম ইউক্রেনের উজহোরোড নগরীতে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ফিকোর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বলবো আমি ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্য হওয়ার বিপক্ষে এবং আমি এতে ভেটো দেবো। এটি শুধু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিত্তি হবে, অন্য কিছু নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশটি স্লোভাক সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় সরবরাহের ক্ষেত্রে যেন কোনো অস্ত্র না পায় সেটা আমি নিশ্চিত করবো।
২০২৩ সালে প্রকাশিত ব্রাতিস্লাভাভিত্তিক গ্লোবসেক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুসারে স্লোভাকিয়া হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্যতম রুশপন্থী দেশ। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ফিকোর সমালোচনা সত্ত্বেও, শুধু হাঙ্গেরিই কিয়েভকে ৫০ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিতে ভেটো দিয়েছে। তবে ইইউয়ের অন্যান্য সদস্যরা গত ডিসেম্বরে এই সহায়তা দেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।