খেলাধুলা ডেস্ক:
জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে এই মৌসুমেই স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমিয়েছেন ২০ বছর বয়সী ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহ্যাম। ইতোমধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা থেকে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে তার দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় থেকে আছেন মাত্র এক পা দূরে। দলের এমন সাফল্যে বড় ভূমিকা রেখেছেন ইংলিশ তারকা বেলিংহ্যাম। যার পুরস্কারও তিনি হাতেনাতে পেয়ে গেছেন।
এবারের মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যমাঠের মূল চালিকা শক্তি ছিলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। পাশপাশি সমান তালে গোল করে গেছেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৪১ ম্যাচে ২৩ গোল। যার মধ্যে ১৯টি করেছেন লা লিগায়। গোল করানোতেও যথেষ্ট পারদর্শী জুড, করেছেন ১২ এসিস্ট। যার মধ্যে ৬টি লা লিগায়। যার বদৌলতে বেলিংহ্যাম হয়েছেন লা লিগার ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড়।
এর আগে পুরো মৌসুমে রিয়ালকে একাধিকবার টেনে তুলেছিলেন খাদের কিনারা থেকে। স্বপ্নের মতো প্রথম মৌসুম কাটানোর স্বীকৃতিই মূলত পেয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের দু’দিন আগেই লা লিগার বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে জানানো হলো জ্যুড বেলিংহ্যামের নাম। যদিও মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছিল তার। তবে সময়মতো ঠিকই জ্বলে উঠেছেন মাঝমাঠ ছেড়ে রিয়ালে আক্রমণভাগের ত্রাতা বনে যাওয়া এই তারকা।
আগামী ১ জুন দিবাগত রাতে বেলিংহ্যাম তার সাবেক ক্লাব ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে। সব ঠিক থাকলে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে রিয়ালের জার্সিতে খেলতে নামবেন তিনি। এই নিয়ে টানা দুই মৌসুমে লীগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন জুড। গত মৌসুমে তিনি বুন্দেসলিগার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। লা লিগার সেরা খেলোয়াড় হওয়ার প্রসঙ্গে জুড বলেন, ‘এই পুরষ্কার আমি আমার সতীর্থ, কোচিং স্টাফ ও ক্লাবের ফ্যানদের উৎসর্গ করতে চাই। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা বরাবরই উপভোগের।’
সর্বশেষ কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপেও আলো ছড়িয়েছিলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। পরবর্তীতে বুন্দেসলিগায় নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। ১০৩ মিলিয়ন ট্রান্সফার দিয়ে তাকে দলে ভেড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিকে, লা লিগার বর্ষসেরা কোচ নির্বাচিত হন জিরোনার মিখেল সানচেজ। অবিশ্বাস্যভাবে দলকে পয়েন্ট তালিকার তিনে তুলে আনেন তিনি। একসময় রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে সমানে সমান টক্কর দিচ্ছিল সানচেজের জিরোনা। এ ছাড়া লা লিগায় বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার গেছে ওসাসুনার হেসুস আরেসোর ঝুলিতে।