জেলা প্রতিনিধি,ঠাকুরগাঁওঃ
ইট ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে গুয়াগাঁও গ্রামে প্রায় ৬০ একর ক্ষেতের ফসল ঝলসে গেছে। এতে ফলন বিপর্যয়ের ভয়ে চরম উত্কন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র, মাঝারি ও প্রান্তিক কৃষক। প্রতিকার পেতে বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, পীরগঞ্জ পৌর শহরের গুয়াগাঁও গ্রামের ফসলি জমির আশেপাশে শাহজাহান, বেলাল ও আকবর আলী নামে তিন ব্যক্তি ইট ভাটা গড়ে তুলেছেন। তাদের ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় এবং গরম বাতাসে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ফসল ও ফল বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে প্রায় ৬০ একর বোরো ধান ও ভূট্টাখেত ঝলসে বিবর্ণ হয়ে গেছে।
কৃষক শাহজাহান, অহিদুল, তোফাজ্জলসহ অনেকে জানান, ধার দেনা করে তারা তাদের বোরো ধান ও ভূট্টা আবাদ করেছেন। এখন ভূট্টা পরিপক্ক হওয়া ও ধানের শীষ বের হওয়ার সময় হয়েছে। ঠিক এই সময়ে ভাটার কালো ধোঁয়া আর গরম বাতাসে তাদের ধানের ও ভূট্টা গাছের পাতা ঝলসে হলুদ বর্ণ ধারন করেছে। আর যেসব ধানের শীষ বের হয়েছে তার সবটাই চিটা হয়ে গেছে। শীষে কোনো ধান নাই। ভূট্টার মোচায় কালো আবরন পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।
এলাকার পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ বলেন, অনেকে ধার দেনা করে বোরো ধান ও ভূট্টা আবাদ করেছেন। ইটভাটার কারণে তাদের ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার লায়লা আরজুমান বানু জানান, কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পরিদর্শন করে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ইট ভাটার তাপের কারণে ফসলের এমন অবস্থা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন জানান, কৃষকদের সাথে কথা হচ্ছে। তবে কি কারনে এ ধরনের পরিস্থিতি হলো তা কৃষি বিভাগ ভালো বলতে পারবে।শুক্রবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ইউএনও রমিজ আলম। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক, কৃষি বিভাগ ও ভাটা মালিকদের রোববার বিকেলে অফিসে ডাকা হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে।