
সাইফুল ইসলাম:
ইনস্টাগ্রামে পরিচয়। পরে বন্ধুত্ব। গত ৪ এপ্রিল ঢাকায় ঘোরাঘুরি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রাইভেটকারে কোমল পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান। এতে তরুণী কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে কৌশলে তেজগাঁওয়ের একটি হোটেলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এর ভিডিও করা হয়। সকালে তাঁকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকার তেজগাঁও থানা পুলিশ।
দুই আসামির নামে ঢাকার তেজগাঁও থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। গ্রেপ্তার আসামিরা হলো– হাসিব চৌধুরী (২৭) ও আতিক হোসেন ভূঁইয়া (২৯)।
গতকাল বুধবার রাতে ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোনে ভিডিও, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। এই তরুণী ছাড়াও তাদের হেফাজত থেকে আরও একাধিক নারীকে ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। মূল আসামি হাসিব দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। রোববার বিমানবন্দর এলাকা থেকে আতিক এবং মঙ্গলবার চান্দগাঁও থেকে হাসিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।