কক্সবাজার প্রতিনিধি:
সাগরপথে ইনানী-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘কর্ণফুলী’র চলাচল উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে প্রথমবার ইনানী সৈকত থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে পর্যটকবাহী জাহাজ ছেড়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পের নতুন একটি দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজের কক্সবাজার কার্যালয়ের ইনচার্জ হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, এই জাহাজ কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ায় বাঁকখালী নদীর ঘাটের পরিবর্তে ইনানীতে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে রবিবার থেকে নিয়মিত চলাচল করবে।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবছরই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার শহর-সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল করে আসছে। এর মধ্যে ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ শহরের বাঁকখালী নদীর ঘাট থেকে চলাচল করলেও, এ বছর তা শুরু করা যায়নি।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সব ধরনের অনুমতি গ্রহণ করে এই জাহাজ ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটি থেকে সাগরপথে সেন্টমার্টিনে চলাচল করছে। এর মধ্য দিয়ে পর্যটনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।
হোসাইনুল ইসলাম আরও বলেন, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জাহাজটি প্রথমবারের মতো ইনানী থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। এটি দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সেন্টমার্টিনে গিয়ে পৌঁছে। আর বিকাল ৩টায় সেন্টমার্টিন থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইনানী জেটিতে পৌঁছায়।
কর্ণফুলী জাহাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এম এ রশিদ বলেন, জাহাজটি ৭৫০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। সেন্টমার্টিন আসা-যাওয়ার টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০০ টাকা থেকে ৩২০০ টাকা। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যাত্রায় ভিন্নরূপে উপভোগ করবেন বলেও জানান তিনি।
পর্যটনের এ উদ্যোক্তা বলেন, পর্যটকরা মেরিন ড্রাইভ হয়ে সমুদ্র উপভোগ করে সকালেই সমুদ্রপথে যাত্রা দেবেন প্রবাল দ্বীপে। সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। ফেরার সময় উপভোগ করতে পারবেন সূর্যাস্তের দৃশ্য, যা পর্যটকদের আলাদা আনন্দ দেবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক নৌ-মহড়া প্রদর্শনের জন্য ইনানী সৈকতে নৌবাহিনী এই জেটি নির্মাণ করে। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমুদ্র নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অধীনে ইনানীর এই জেটি পরিচালিত হয়ে আসছে।